সবচাইতে কঠিন কাজগুলোর মাঝে একটি হচ্ছে ঘরদোর সর্বদা গুছিয়ে টিপটপ রাখা। এখন একবার গোছালেন, কিছুক্ষণ পরই আবার দেখবেন যে সবকিছু এলোমেলো। অর্থাৎ আপনার সমস্ত পরিশ্রমই একেবারে পণ্ড। কী করবেন? ঘরদোর গুছিয়ে রাখার আছে কিছু সহজ টিপস। সেগুলো চললে আপনার ঘরদোর নোংরা হবে কম, অল্প পরিশ্রমেই বেশ সাজিয়ে গুছিয়ে টিপটপ রাখতে পারবেন নিজের শখের বাসস্থান। চলুন, জেনে নেবেন তেমনই ৯টি দারুন টিপস!
১) প্রথমেই যে অভ্যাসটি রপ্ত করে নেবেন সেটা হলো, যেখানকার জিনিস সেখানেই রাখতে শিখুন। অর্থাৎ কোন একটা জিনিস যেখান থেকে নিয়ে কাজ করবেন, কাজ শেষ হলে সেখানেই আবার রেখে আসুন। সময় লাগবে কয়েক মিনিট। কিন্তু এই অভ্যাসটি ম্যাজিকের মত ফল দেবে।
২) ছোট ছোট জিনিস কখনোই ছড়িয়ে রাখবেন না। বাজারে ৯০/১০০ টাকা করে সুন্দর সব প্লাস্টিকের ঝুরি পাওয়া যায় বিভিন্ন আকৃতির। এইসব বাস্কেট ব্যবহার করুন। রান্নাঘরের টুকিটাকি হোক বা বেডরুমের টুকটাক, এইসব ঝুরিতে রাখলে ঘর পরিষ্কার থাকবে আবার পরিষ্কার করতেও সহজ।
৩) বাচ্চাদের খেলনা থেকে শুরু করে ব্যবহার্য অন্যান্য জিনিসগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন। যদি ওয়্যারড্রব বা আলমারিতে জায়গা না হয়, তাহলে বড় বড় ঢাকনা দেয়া বাস্কেট বা কার্টন ব্যবহার করুন। এসব ছড়িয়ে রাখলেই ঘর ময়লা দেখাবে।
৪) বিছানায় চাদরের ওপরে বেডকভার বিছিয়ে রাখার অভ্যাস করুন। রাতে তুলে ঘুমাবেন, সকালে আবার বিছিয়ে দেবেন। এতে বিছানা নোংরা হবে কম, দেখতেও ভালো দেখাবে। প্রতিদিন ব্যবহারের কাঁথা, চাদর ইত্যাদি ভাঁজ করে রাখুন। এতেও ঘর নোংরা কম হবে।
৫) যাদের ঘরে ধুলাবালির সমস্যা তারা জানালায় ভারী ও গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবভার করুন। জানালা তো আর বন্ধ করে রাখা যায় না। কিন্তু ভারী পর্দা ব্যবহার করলে ঘর ময়লা হবে কম, ধুলাবালির যন্ত্রণা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
৬) কাজ কখনো জমিয়ে রাখবেন না। যেটা যখন করার, তখনই করে ফেলুন। এতে সব কাজ একসাথে করার ঝামেলা যেমন থাকবে না, তেমনি ঘরদোর নোংরা হবে না।
৭) ময়লা ফেলার জন্য অবশ্যই ঢাকনা দেয়া বাস্কেট ব্যবহার করুন। এতে ঘরে যেমন গন্ধ হবে না, তেমনি ময়লা ছড়াবে না। খবরের কাগজ বা প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়ে ময়লা ফেলুন।
8) ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আপনার বন্ধু। ৩/৪ দিন পর পর একবার সোফা, কার্পেট থেকে শুরু করে পর্দা পর্যন্ত সবকিছু ভ্যাকুয়াম ক্লিন করে ফেলুন। ঝাড়ু দিয়ে ঝাড়লে ধুলোটা উড়ে গিয়ে অন্য জিনিসের ওপরে পড়ে। ফলে ঘর আর নোংরা হয়। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পর্দা পরিষ্কার করলে পর্দা বেশ বিরতি দিয়ে ধোয়া যায়।
৫) কাপড় চোপড় ভাঁজ করে রাখা অভ্যাস করুন, নাহলে কিছুতেই আপনার ঘরদোর পরিষ্কার দেখাবে না। কাপড় ধোয়ার পর শুকিয়ে গেলে সাথে সাথে ভাঁজ করে ফেলুন। ঘামে ভেজা কাপড় শুকাতে হলে হ্যাঙ্গারে মেলে দিয়ে শুকান। আর যদি একান্তই ভাঁজ করা সম্ভব না হয়, তাহলে একটি ড্রয়ার বা ঝুরি বরাদ্দ রাখুন। সেখানে এলোমেলো গুলো রেখে দিন, পরে সময় করে গুছিয়ে রাখুন।