*দুটো শসার টুকরো দুই চোখে দিয়ে রাখলে সারাদিনের ক্লান্তিভাব চোখ থেকে দূর হবে। চোখের লালচে ভাবও দূর করে শসা। চোখের নিচে ফোলাভাবসহ চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়। তাছাড়া শসা মুখে ঘষে দিলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
*ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে শসার জুড়ি নেই। কয়েকটি মিন্ট পাতার সঙ্গে কয়েক চামচ লেবুর রস ও ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিয়ে শসার সঙ্গে ব্লেন্ড করুণ। এবার গোটা মুখে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করুন। টানা ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। শুধু ফ্রেস নয়, চকচকে হয়ে উঠবে ত্বক।
*শসা উচ্চ ও নিম্ন দু’ধরনের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। শসাতে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এই তিনটি উপাদান ক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
*শসার মধ্যে জলীয় উপাদানই বেশি। এই জলীয় অংশ শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এতে কিডনি সুস্থ থাকে। তাছাড়া কিডনির পাথর প্রতিরোধেও শসার তুলনা নেই।
*বিভিন্ন রকম ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে শসা। তার মধ্যে প্রধানত জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থির ক্যানসার প্রতিরোধে শসা বেশি কার্যকর।
*প্রতিদিন নিয়ম করে শসা খেলে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয়, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। তাই যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের প্রতিদিন অন্তত একটি করে শসা খাওয়া দরকার।
*আঁচারের স্বাদ আনা যায় কচি শসায়। আঁচার বানাতে যেসব উপাদান ব্যবহার করেন তা আস্ত শসার সঙ্গে মিশিয়ে একটি বয়ামে রেখে দিন এক মাস। এরপর খেয়ে দেখুন। এটাকে শসার আঁচার বলতে পারেন।
*দইয়ের সঙ্গে শসা বেশ মজা লাগে। দই ও শসা এক করে তা সস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এর সঙ্গে টমেটো, শস্য দানা এবং মরিচ ব্যবহার করে সালসা ডিপও বানিয়ে নিতে পারেন।
*শসার স্যুপও তৈরি করা যায়। গরমে ঠাণ্ডা শসার স্যুপ দারুণ শান্তি দিতে পারে। দই ও শসার সস বানিয়ে নিন এক বাটি। এতে হালকা লবণ, মরিচ এবং আদার পাউডার মিশিয়ে মজার স্যুপ হতে পারে।
*স্যান্ডুউচ খুব সোজা একটি বিষয়। স্লাইস করা শসা দুই পরতের পাউরুটির মধ্যে চালান করে দিন। এর ওপর ক্রিমের আস্তরণ দিন। খুব মজা লাগবে।
*শসার মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রায় নেই বললেই চলে। তাই নিশ্চিন্তে যত খুশি খেতে পারেন শসা। এতে মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে। আর যারা একটু মোটা তাদের ওজনও কমাতে সাহায্য করবে শসা।
*শসার প্রায় ৯০ শতাংশই হচ্ছে পানি। তাই পানির চাহিদা মেটাতে শসার তুলনা নেই। সারাদিনে যে পরিমাণ পানি দরকার তা যদি পান না করতে পারেন তবে শসা খেয়ে নিন। শসা পানির চাহিদা মেটাবে।
*প্রচণ্ড গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত! একটি শসা খেলে জুড়িয়ে যাবে আপনার শরীর। শসা দেহের তাপ শোষণ করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে ত্বকে ঘষে নিন। নিশ্চিত ভালো ফল পাওয়া যাবে।