শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য আমরা ব্যায়াম করে থাকি হরহামেশাই। এছাড়াও শরীরকে ক্ষতির হাত থেকে দূরে রাখার জন্যেও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকি আমরা। গভীর শ্বাস নেওয়া, মেরুদণ্ড সোজা করে বসা, যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করে- এসব অভ্যাসের ফলে আমরা নিজেদের শরীরের উপকার করছি একটু একটু করে। কিন্তু এমন কি কোনো কাজ বা অভ্যাস আছে, যা আমাদের মনকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে?
আমাদের সারা শরীরের সাথেই সংযোগ আছে মস্তিষ্কের। শরীরের স্নায়ুতন্ত্র থেকে আসা বিভিন্ন সিগন্যাল মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এমন কিছু অভ্যাস আছে যা শরীরের পাশাপাশি আপনার মনকেও ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
হাসুন
কারণে-অকারণে হাসি আমাদের মস্তিষ্ককে তরতাজা রাখে। খুব দুশ্চিন্তায় থাকা অবস্থাতেও জোর করে মুখে হাসি টেনে আনলে মনের ওপর থেকে অনেকটা চাপ সরে যায়। শুধুমাত্র মুখটা হাসি হাসি করে রাখলেই চলবে। এই ছোট্ট ব্যায়ামটা মনের মাঝ থেকে কমিয়ে দেবে স্ট্রেস।
ছড়িয়ে দিন দু-হাত
কিছু কিছু ভঙ্গিমা মনের মাঝে তৈরি করে শক্তির অনুভূতি। গবেষণায় দেখা যায়, শরীরকে ছড়িয়ে দেওয়ার এমন ভঙ্গিমা হরমোনের পরিমাণেও পরিবর্তন আনতে সক্ষম। এতে সেই মানুষটি হয়ে ওঠে আরো আত্মবিশ্বাসী এবং ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক। দু-দিকে হাত ছড়িয়ে দেবার এই ভঙ্গিমা যদিও অনেকের কাছে পুরুষালী মনে হয়, কিন্তু এই ভঙ্গিমা নারীর মনেও শক্তি সঞ্চার করতে একইভাবে কার্যকরী।
ছোট্ট ঘুমে হয়ে উঠুন বুদ্ধিমান
অনেকেই আছেন যারা রাত্রেই কেবল ঘুমিয়ে থাকেন, সারাদিন আর ঘুমানোর ফুরসত পান না বা ঘুমাতে চান না। দিনের বেলায় ঘুমানোর ব্যাপারটাকে আলসেমি মনে করেন অনেক সময়ে। ছোট্ট একটু ঘুমানোর এই অভ্যাস কিন্তু মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। এই ঘুমে শুধু যে আপনার ক্লান্ত মস্তিষ্ক একটু বিশ্রাম পায় তাই নয়, এর পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি উন্নত করে, শিক্ষা গ্রহণের ক্ষমতা এবং মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ায়।
বসুন ধ্যানের ভঙ্গিমায়
অনেকে মনে করেন ধ্যানের মাধ্যমে মনের প্রশান্তি আনার প্রক্রিয়াটি অনেক বেশি জটিল। এটা কিন্তু তেমন জটিল নয়। গবেষণায় দেখা গেছে শুধুমাত্র ধ্যানের ভঙ্গিমায় বসে গভীর নিশ্বাস নিলেও মনের অনেক উপকার হয়। সম্ভবত নির্দিষ্ট এই ভঙ্গিমা এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের কারণেই মস্তিষ্কের এমন উপকার হয়।