*এই গরমে সুস্থ থাকার একটি প্রধান উপায় হচ্ছে সঠিক পোশাক নির্বাচন। আর এই সময় সবচেয়ে উপকারী পোষাক হচ্ছে সূতি কাপড়ের তৈরি পোশাক। কারন সারাদিন বাইরে থাকার ফলে শরীরে যে ঘাম হয় তা সূতি খাপড় খুব সহজেই শুষে নিতে পারে। এছাড়া সূতির পাশাপাশি ধূপিয়ান, লিলেন, টাইডাই ও কটনও নির্বাচন করতে পারে। কাতান, টিস্যু, জর্জেট এই ধরনের কাপড় যথা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এছাড়া যারা বাইরে যাওয়ার সময় শাড়ি পরে থাকেন তারা সূতি, খাদি কাপড় নির্বাচন করতে পারেন। আজকাল সূতি কাপড়ের উপর অনেক ধরনের হালকা ডিজাইনের নকশা দেখা যায়। এসব পোশাকও সবার গায়ে খুব ভালো মানিয়ে যায়। এছাড়া রঙ নির্বাচনের খেত্রেও অনেক সতর্ক থাকা উচিত। এ সময় উজ্জ্বল রঙের পোষাক না পরাই ভালো। হালকা নীল, ধূসর, বালামী, হালকা গোলাপী, সাদা, মেজেন্টা এই ধরনের রঙ বেশী ভালো হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে টি শার্ট, থ্রী কোয়ার্টার প্যান্ট অথবা সূতির চেক শার্ট বেছে নিতে পারেন। এই ধরনের পোষাক সব যায়গায় ব্যাবহারের জন্য খুবই মানানসই হয়।
*এই সময় শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পরিমানে পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায়। ফলে শরীরে পানিশূন্যতা ও বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। তাই এই সময় সুস্থ থাকতে চাইলে প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন। এছাড়া পানির সাথে সাথে বিভিন্ন ফলের জুস যেমন আম, তরমুজ, আখের রস, ডাবের পানি পান করুন। এ সময় বাড়িতে স্যালাইন অথবা গ্লুকোজ রাখুন। কারণ এগুলো শরীরে পানিশূন্যতা কমিয়ে শরীরে লবনের পরিমান ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তবে রাস্তার পাশে অস্বাস্থকর পানীয় থেকে সাবধান থাকুন। কারন এগুলো পানে শরীর সুস্থ থাকার পরিবর্তে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
*এই সময় সচরাচর ভারী খাবার নয়া খাওয়াই ভালো। এছাড়া অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবারও এই সময় এড়িয়ে চলা উচিত। কারন ভারী খাবার খেলে এই সময় অতিরিক্ত গরম লাগবে এবং শরীর খারাপ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে বিকালের নাস্তায় হালকা ফলমূল ও ফলের রস খেতে পারেন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে।
*গরমের সময় সবসময় খোলামেলা জুতা পরা উচিত। এতে শরীর ঠান্ডা থাকে। এ সময় কখনো মোজা পরা উচিত নয়। এতে পায়ে বাতাস চলাচল করতে পারে নয়া এবং শরীর গরম থাকে। প্রতিদিন ব্যাবহারের জন্য খোলামেলা স্যান্ডের ব্যাবহার করতে পারেন।