*একজন মেয়ে যেভাবে নিজের আবেগ প্রকাশ এবং নিয়ন্ত্রন করবেন তা একজন ছেলের সাথে একেবারেই মিলবে না। কারণ মেয়েরা অল্পতেই বেশি আবেগী হয়ে যান, অনেক বেশি রিঅ্যাক্ট করেন, অনেক রাগারাগি এবং অযথা অভিমান। এই জিনিসটি মেয়েদের মধ্যে সৃষ্টিকর্তাই দিয়েছেন। তাই ছেলেদেরও বিষয়টি মেনে নেয়াটাই ভালো।
*মেয়েরা যেসকল জিনিস দেখতে পছন্দ করেন তা ছেলেদের সাথে একেবারেই মেলে না। তারা হয়তো রোম্যান্টিক কোনো মুভি বা একটি সিরিয়াল দেখতে বসে যেতে পারেন অপরদিকে খেলাধুলা বা অ্যাকশন মুভি দেখাতেই ছেলেদের আগ্রহ বেশি। মূল কথা হলো একজন ছেলে এবং একজন মেয়ের রুচি আলাদা হবেই। তাই এই ব্যাপারটি নিয়ে ঘ্যানঘ্যান না করে মেনে নেয়াটাই ভালো।
*ছেলেরা সব চাইতে বেশি অভিযোগ করেন মেয়েদের তৈরি হওয়ার দেরি নিয়ে। কিন্তু ছেলেদের বুঝতে হবে একটি পোশাক এবং চুল আঁচড়ে নিলেই মেয়েদের তৈরি হওয়া হয় না। মেয়েদের পোশাক পড়াটাই একটু ঝামেলার, তারউপর মেকআপ, চুল সেট ইত্যাদি তো রয়েছেই। সুতরাং এই বিষয়টি মেনে নিয়ে চুপ থাকাই ছেলেদের জন্য ভালো।
*ছেলেরা খুব সহজে কমিটমেন্টে যেতে চান না এবং মেয়েরা ঠিক উল্টো স্বভাবের কমিটমেন্ট বাদে কারো সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে ইতস্ততবোধ করেন। এর মূল কারণ হচ্ছে মেয়েরা নিরাপত্তা চান, সম্পর্কের নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তা। এটি মেয়েদের সহজাত একটি ব্যাপার। সুতরাং না চাইলেও এই ব্যাপারটি মেনে নেয়া উচিত ছেলেদের।
*একটি ছেলে হয়তো বর্তমানের প্রেমের সম্পর্কে একটু ঘুরাঘুরি এবং হাত ধরা নিয়ে ভাবছেন, কিন্তু একটি মেয়ে ভাববেন ভবিষ্যতের কথা, বিয়ের কথা, ছোটো একটি সংসারের কথা। কারণ মেয়েরা মুখে যতোই বলুন না কেন বিয়ের বিষয়টি নিয়ে অনেক বেশি ভাবেন। তাই যদি আপনার প্রেমিকা এইধরনের ভাবনা মনের মধ্যে রেখে আপনাকে কোনো কথা বলেন তখন তিতা খাবার খাওয়ার মতো মুখ না করে বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়াই ভালো।