* রাতে ছয় ঘণ্টার কম ঘুমানো মানুষদের এক-চতুর্থাংশ কার্ডিওভাসকুলার সমস্যায় ভোগেন। তাদের ধমনীতে রক্ত চলাচলে বাধা, দুর্বলতা বোধ, দুর্বল হার্টবিটসহ নানা সমস্যা হতে পারে।
* একটানা ২৪ ঘণ্টা নির্ঘুম কাটালে মস্তিষ্কের কগনিটিভ মোটরের অবস্থা মাদকাসক্তির আচরণ করে। মানুষটির আচরণ দেখলে মনে হয় সে কোনো অ্যালকোহল নিয়েছেন। টানা তিন দিন ধরে ১৯ ঘণ্টা করে জেগে থাকলে মস্তিষ্কের কোষগুলো মরে যাওয়া শুরু করে। এতে সাধারণ কাজের গতি বাধাগ্রস্থ হয়, শরীরে অবসাদ আনে। কোনো কিছুতে মনোযোগ আসে না।
* যারা দিনে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমান, তাদের পাকস্থলীতে লেপটিন হরমোনের পরিমাণ ১৫.৫ শতাংশ কমে যায়। এটি আপনাকে ভরপেট খাবারের অনুভূতি দেয় এবং ফ্যাট বাড়িয়ে দেয়। তাদের মাঝে স্থূলতা দেখা দেয় বেশি। বিশেষ করে কোমরে চর্বি জমে যায়। কোমরে ব্যথা, হাটাচলায় কষ্ট হওয়া এবং পেটে চর্বি জমে গিয়ে মোটা হতে সাহায্য করে।
* যারা ৬ ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের সিসটোলিক বিপি ১৩২-এ উঠে যায়। অথচ যার স্বাভাবিক মাপ ১২০ এর কম। সঠিক ঘুমের অভাবে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়, যাকে স্ট্রেস হরমোন বলা হয়।
* রাতে গড়ে ৬ ঘণ্টা ঘুমের কারণে পুরুষদের ডায়াবেটিস দেখা দেয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
...নিদ্রাহীনতা নিঃসন্দেহে একটি যন্ত্রণাদায়ক অবস্থার নাম। কম বেশি অনেকেই এই সমস্যায় পড়ে থাকেন। তবে কারো কারো নিদ্রাহীনতার সমস্যা বেশি।