*কোনো কাজ করার আগে নেতিবাচক দিকটা আগে না ভেবে ইতিবাচক কী হতে পারে, সেটা নিয়া ভাবতে হবে। যা আপনাকে সুখী অনুভব করতে সাহায্য করবে। নতুন কারো সঙ্গে মেশার সময়ও তার ভালো দিকগুলোকে আগে দেখা। কোনো কাজ করার পূর্বপরিকল্পনা হিসাবে মেডিটেশন করা, যা আপনাকে শান্ত ও সতর্ক রাখবে।
*প্রচণ্ড রাগ হওয়ার মতো কিছু হলেও আপনি মনে করবেন কিছুই হয়নি। কণ্ঠকে শান্ত রাখুন এবং মনে করুন আপনি শান্ত আছেন। দেখবেন শান্ত মনোভাবই আপনার মনকে শান্ত করে দেবে। যখন রাগ অনুভব করবেন, তখন ঠিক তার বিপরীত আচরণ করবেন। কণ্ঠ নরম করে, মুখকে স্বাভাবিক রেখে আস্তে আস্তে হাটবেন। যদি আপনি তা করতে পারেন, তাহলে আপনার বাইরের স্থিরতা ভেতরের অস্থিরতাকে কমিয়ে দেবে। আপনি নিজেকে সুখী অনুভব করবেন। সুখী হওয়ার মহৌষধ হল হাসি।
*আমরা জীবনে সবকিছুই পেতে চাই। আপনার কোনোকিছু পাওয়ার কথা থাকলেও তা ইচ্ছা করে ত্যাগ করুন। দেখবেন এতে সুখ অনুভব করা যায়। যেমন প্রতিদিন আপনার একই ধরনের কফি পানের অভ্যাস। আপনি কয়েক দিন বিরতি দিয়ে কফি পান করে দেখুন। এতে আগের চেয়ে অনেক সুস্বাদু মনে হবে কফিটি। অথবা কাউকে ভালোবাসেন- ইচ্ছে করে তার থেকে দুরত্ব বজায় রাখুন। দেখবেন তার প্রতি আপনার ভেতরের অভাববোধ জাগ্রত হবে। এভাবে নিজের ওপর আত্মনিয়ন্ত্রণ বাড়ানো আপনাকে সুখী করবে।
*অনেক সময় বহু প্রস্তুতি স্বত্বেও সেভাবে আশানুরুপ ফল পাওয়া যায় না। হোঁচট না খেয়ে মনে করুন- ঠিক আছে, আমরা অনেক ভালো করেছি। নিজেকে দোষারোপ না করে এর চেয়ে ভালো কিছুর জন্য এগিয়ে যাওয়া উচিত। একটা ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। নিজের কাজের পর্যালোচনা নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে সাহায্য করে। সব দুঃখ ও বেদনাকে সহজভাবে নিতে হবে।