ঘরে গাছের সবুজ ছোঁয়া রাখার উপকারিতা সবাই জানেন। অনেকেই ছোটখাটো বাগানই বানিয়ে ফেলেছেন ঘরে, ছাদে অথবা বারান্দায় এক টুকরো বাগানের সজীবতা। কিন্তু বারান্দায় নয়, বাসার ছাদেও নয়, একদম ঘরের ভেতরের বাসিন্দা বানিয়ে রাখার পক্ষে উপযোগী গাছদের নিয়ে কথা হচ্ছে এখানে। যেসকল গাছ আপনাদের সাথেই থাকবে, প্রশান্তি দেবে চোখ এবং মনকে আর একই সাথে তাদের বায়ু পরিশোধনের অসাধারন ক্ষমতা আপনার ঘরের ভেতর স্বাস্থ্যকর পরিবেশের নিশ্চয়তা দেবে।
মানিপ্ল্যান্ট:
মানে টাকার গাছ- নামের এমন বাংলা অর্থ করতে যাবেন না! এই ছোট্ট গাছটি আপনাকে টাকা দেবে না ঠিক, তবে যা উপকার দেবে তাও নেহাৎ কম না। এই গাছের আছে যেকোন পরিবেশে বেঁচে থাকার ক্ষমতা। বেশি আলো প্রয়োজন হয় না তার, কম আলোতেই রাখুন। যত্নআত্তি নিয়েও অনেক ঝামেলা পোহানো লাগে না। ঝুড়িতে বা একটু পেটমোটা বোতলে ভরে রেখে দিন টেবিলেই। জানালার তাক, বেসিনের আয়নার তাক বা চাইলে কোথাও ঝুলিয়ে রেখে দিতে পারেন এই চমৎকার গৃহবান্ধব মেহমানকে।
চাইনিজ এভারগ্রীন:
এই গাছটি দেশীয় কচু গাছের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। অল্প আলো পছন্দ করে তাই সরাসরি সূর্যালোকে রাখবেন না। অনেক বেশি বা খুব অল্প পানি কোনটাই এর পক্ষে ভালো নয়।
স্নেকপ্ল্যান্ট:
সাপগাছ, এমন নামকরণের সার্থকতা খুঁজে পাবেন প্রথম দর্শনেই। তার আকৃতির সাথে সাপের মিল পাওয়া যায় যথেষ্টই। ইংরেজিতে এই গাছের একটি ভীষন মজার নাম রয়েছে- "মাদার ইন ল'স টাঙ্গ", অর্থাৎ শ্বাশুড়ি মায়ের জিহ্বা! বিবাহিত ব্যক্তিরা নিজেদের শ্বাশুড়ি মায়ের জন্য নির্দ্বিধায় এই গাছ উপহার হিসেবে নিতে পারেন! বায়ুশোধক ক্ষমতা এই গাছের বেশ ভালো। আলো-অন্ধকার মেশানো পরিবেশে থাকতে পছন্দ করে। খাবার ঘরে বা শোবার ঘরেও একে রাখতে পারেন অনায়াসে। পানি দেবেন বুঝেশুনে, মাটি শুকনো হয়ে এলে পরে।
ক্যাকটাস:
ক্যাকটাস আপনার ঘরে সাজিয়ে রাখার জন্য অভিজাত একটি গাছ। কাঁটাযুক্ত শরীর নিয়েও তার আছে অসামান্য সৌন্দর্য যা ঘরের শোভা বাড়িয়ে দিতে পারে। ক্যাকটাস আলো পছন্দ করে বেশ, তাই বেশি আলো আছে তেমন জানালার কাছেই রাখুন। পানি দেবেন আগের পানি শুকিয়ে গেলে তবেই।
স্পাইডারপ্ল্যান্ট:
মাকড়শা গাছ নাম হয়েছে এর মাকড়শার পায়ের মতো ছড়ানো পাতার কারনে। লম্বা পাতাগুলির পাশে সাদা রেখা, মাঝখানটা সবুজ। এই গাছেও মাটি পুরো শুকোলে তবে পানি দিতে হবে। খুব আলো এর পছন্দ নয় তাই সূর্যের আলো সরাসরি লাগতে দেবেন না। গোলাকার ঝুড়িতে সাজিয়ে রাখলে দারুণ লাগে গাছটিকে।
এসব গাছের অনেকগুলিই শিশু এবং আপনার পোষাপ্রাণীর জন্য অপকারী। কিছু তো পোষাপ্রাণীর জন্য বিষাক্তও। কাজেই বাচ্চা এবং আদরের বিড়াল বা কুকুরকে এসমস্ত গাছ থেকে বা গাছগুলিকে তাদের থেকে দূরেই রাখুন।