ক্ষতিকর জেনেও ধূমপায়ীরা নিজেদেরকে এর থেকে দুরে রাখতে পারে না। চেষ্টা করেও এই নেশা রোধ করতে পারেন না অনেকে। কিন্তু কিছু সাধারণ এবং প্রাকৃতিক উপায়ে এই ধূমপানের আসক্তি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেই-
* প্রচুর পরিমাণ ঠাণ্ডা পানি খেতে হবে তবে খুব ঠাণ্ডা পানি বা ফ্রিজে রাখা পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভাল। আর এই পানি যদি তামার পাত্রে রাখা যায় তাহলে শরীর থেকে ধূমপানের ফলে যা জমেছে সেগুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
* অশ্বগন্ধা, ত্রিফলা এবং সুদর্শণচূর্ণ আমাদের শরীরে জমে থাকা দূষিত উপাদানগুলোকে বিষক্ষয় করতে সাহায্য করে। তবে এইগুলো সেবন করার আগে ডাক্তারের পারমর্শ নিয়ে ব্যবহার করা ভাল।
* প্রথম প্রথম ধূমপান ছেড়ে দিতে ভীষণ কষ্ট হতে পারে তাই চিকিৎসকদের পরামর্শে এই সময় সব থেকে ভাল উপায় হল সাধারণ সিগারেটের বদলে হার্বাল সিগারেট ব্যবহার করা। এই হার্বাল সিগারেটে সাধারণত হলুদ, তুলসি, লবঙ্গ, দারুচিনি এবং এলাচ দিয়েই তৈরি হয়ে থাকে। ধূমপান থেকে নিজেকে একটু দূরে রাখতে চাইলে, নিকোটিন যুক্ত সিগারেটের বদলে এই হার্বাল সিগারেট ব্যবহার করাকেই সব থেকে ভাল উপায় বলে পরামর্শ দেন আয়ুর্বেদিক ডাক্তাররা। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা আরও একটি পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাঁরা বলেন- আদা, হলুদ, আমলা গুঁড়ো করে মিশ্রণ বানিয়ে একটি বলের আকারে গড়ে মুখের মধ্যে কিছুক্ষণ রেখে রেখে খাওয়া যেতে পারে। এই মিশ্রণ প্রতিদিন বা সপ্তাহে কয়েকদিন খেলে সিগারেটের প্রতি আকর্ষণ একেবারেই চলে যাবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
* ধূমপান হঠাৎ করে ছেড়ে দেওয়ার পর পরই খাবার খেতে গেলেই অনেকের মুখে একরকমের তেঁতো স্বাদ লাগে৷ তাই এই সময় কিছুদিন নিরামিষ খাওয়া যেতে পারে। অ্যালকালিন জাতীয় খাবার যেমন শাক-সবজি, ফল, শুকনো বাদাম, ইত্যাদি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। পাঁউরুটি, দুধ দিয়ে তৈরি খাবার, চা, কফিকে একটু এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। সপ্তাহ খানেক এইরকম খাবার খেলেই মুখে আবার স্বাভাবিক স্বাদ ফিরে পাবেন।
...প্যাকেটে লেখা সতর্কবানীকে উপেক্ষা করে নিজের বিপদ ডেকে আনেন ধূমপায়ীরা। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর এবং ক্যান্সারের কারণ। ধূমপান ছাড়ুন দীর্ঘজীবি হোন।