বর্তমানে সমাজের প্রত্যেকটা স্তরে লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। এখন গ্রামেও একটি টেলিভিশন ছাড়া বাড়ি কল্পনাও করা যায় না। তেমনি আমাদের সমাজে দিন দিন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ইন্টারনেট। বিশেষ করে তরুণরা এখন ইন্টারনেটহীন জগত কল্পনাই করতে পারে না। তাই নিয়মিত কাজকর্মের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার এখন দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই পড়ে। এর মাধ্যমেই টুকিটাকি নানান কাজ সেরে নেওয়া যায় কয়েক মুহূর্তেই। যোগাযোগ, সংবাদ, ব্যবসা-ব্যানিজ্য, অনলাইনে কেনাকাটা ইত্যাদি সকল চাহিদাই পূরণ হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। ভার্চুয়াল জগতেই শহুরে মানুষের সদা বিচরণ। ফলে অনেকেই এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে নিজের অজান্তেই । কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এর বিরুদ্ধে অবশ্যই সচেতনতা প্রয়োজন। আপনার ইন্টারনেট ব্যবহার যদি নিম্নোক্ত সাতটি লক্ষণের সাথে মিলে যায় তবে বুঝতে হবে আপনি ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছেন।
১. যারা অফিসে বা বাসায় স্বাভাবিক কার্যক্রম করার চাইতে ইন্টারনেট ব্যবহারই বেশি আনন্দদায়ক মনে করেন।
২. যাদের দিন দিন ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় আনুপাতিকহারে বেড়েই চলেছে।
৩. যদি আপনি নিজেকে ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে না পারেন তবে বুঝতে হবে আপনি আসক্ত হয়ে পড়েছেন।
৪. যদি পরিবারে সময় দেওয়ার চাইতে ইন্টারনেটে সময় দেওয়াটা বেশি প্রয়োজনীয় মনে হয়।
৫. যারা অন্যান্য কাজের চাইতে ইন্টারনেট ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।
৬. যদি আপনি যেকোন জায়গা এমনকি বাথরুমে গিয়েও বিশ্রামহীনভাবে অনলাইনে থাকতে পছন্দ করেন এবং ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে হতাশবোধ করেন তাহলে বুঝতে হবে আপনি ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছেন।
৭. ঘুম থেকে উঠেই শুয়ে শুয়ে যদি আপনি মোবাইল বা ট্যাব দিয়ে অনলাইনে বসতে আগ্রহবোধ করেন তবে বুঝতে হবে আপনি ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছেন।