কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই জিমে যাবার সময় পায় না। তাছাড়া, অনেকেই জিমে যাওয়া পছন্দ করে না। জিমে যেয়ে অনেকের বিরক্তিকরও লাগে। ভারী ভারী জিনিস তুলে পরিশ্রম করতে ভালো লাগে না। তাহলে জিম বাদ দিয়ে নিম্নলিখিত কার্যক্রমগুলো চেষ্টা করে দেখতে পারেন-
১. সাঁতার কাটা:
আপনি হয়ত বেশী মানুষ থাকার ফলে পুলে সাঁতার কাটতে পছন্দ করেন না। পানি বাতাসের চেয়ে ১২ গুণ ঘন বর্নায় জার ফলে পানিতে থাকার ফলে শরীরের ক্যালরি পুড়ে যায় এবং পেশী শক্তিশালী হয়। যাদের শরীরে বিভিন্ন ক্ষত ও বাতের ব্যথার সমস্যা রয়েছে, তাদেরকে সাঁতার করার জন্য ডাক্তারি উপদেশ দেয়া হয়।
২. গৃহস্থালির কাজ করা:
ওজন কমানোর জন্য সব থেকে ভালো উপায় হল ঘরের সব কাজ নিজে করা। বিশেষভাবে ঘর ঝারু দেয়া ও মুছা। আপনি একদিনে ১৫৩ ক্যালরি পর্যন্ত পুড়াতে পারবেন, মাত্র ৩০ মিনিট গৃহস্থালির কাজ করলে। বাড়িতে সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করুন। এতে আপনার শরীরের মেদ কমে যাবে।
৩. দৌড়িয়ে সিঁড়ি বেয়ে উঠানামা করুন:
যারা জিমে যেয়ে পায়ের পেশী আরও শক্তিশালী করতে চান, তারা সিঁড়ি দিয়ে দৌড়িয়ে ওঠানামা করুন। এতে মাত্র আধা ঘণ্টাতেই ৪২২ ক্যালরি পর্যন্ত পুড়ে যায়।
তবে অবশ্যই সাবধানতার সাথে দৌড়াতে হবে। যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে। দৌড়ানোর সময় পায়ের পাতার তুলনায় পায়ের পেশীতে বেশী চাপ প্রয়োগ করুন। অবশ্যই দৌড়ানো শেষ হবার পর কিছু সময় স্ট্রেচিং করুন।
৪. সালসা নাচ:
এই নাচটি শরীরের ৬০০ ক্যালরি পুড়তে সক্ষম। এই নাচের ফলে হৃদপিণ্ড সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়। প্র্যাকটিস মানুষকে নিখুঁত করে তুলে আর এই নাচ প্র্যাকটিসের মাধ্যমে আপনি নিখুঁত হবার সাথে সাথে আনন্দও পাবেন।
৫. সাইকেল চালানো:
পায়ের পেশী বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করার জন্য সাইকেলের ভূমিকা অনেক। এর জন্যই জিমে সাইকেলিং মেশিন থাকে। আপনি যদি ভালো করে লক্ষ্য করেন, সাইকেল পেট্রোলের খরচ বাচায় ও পরিবেশকে রক্ষা করে। তাই আপনি অফিসে যাতায়াত কালে সাইকেলের ব্যাবহার শুরু করতে পারেন।
৬. ব্যায়ামের ভিডিও:
ব্যায়ামের ভিডিও দেখে ঘরে বসে বসেই বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিদিন ২০-২৫ মিনিট যোগব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি থাকবেন সম্পূর্ণ ফিট। এতে আপনি থাকবেন বিষণ্ণতামুক্ত এবং শরীরের ক্যালরিও পুড়বে।
৭. স্পোর্ট ক্লাব:
যে কোন স্পোর্ট ক্লাব যেটা আপনার ভালো লাগে, যেমন- ক্রিকেট, ফুটবল, টেবিল টেনিস, বাস্কেট বল ইত্যাদির যেকোনোটিতে যুক্ত হয়ে যান। এতে আপনার আত্মতৃপ্তির সাথে সাথে স্বাস্থ্যেরও ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে।
তাহলে, যারা জিমে যেতে অভ্যস্ত নন তারা আজ থেকেই এসব কার্যকলাপ শুরু করে দিন। এতে আপনার শরীর ও মন উভয়ই ভালো থাকবে।