সুখ কি? না যায় দেখা, না যায় ধরা। পুরোটায় অনুভূতির ব্যপার। একজন সুখী ও আশাবাদী মানুষ যে কোনো পরিস্থিতিতে সাহস ধরে রাখে। যোগ্যতা রাখেন নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। তবে সবসময় নিজের ভেতর সুখ ধরে রাখাও একটা বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ। অথচ, খুব সহজ কিছু উপায় অবলম্বন করে আমরা সবাই সুখী থাকতে পারি।
* ইতিবাচক চিন্তা আপনার কাজকে যতখানি সামনে নিয়ে যেতে পারে, তা আর অন্য কিছুতেই সম্ভব নয়। যদি আজ কোনো ব্যর্থতা আসে, তাহলে ভাববেন না, আপনি সবসময়ই ব্যর্থ। কাল অবশ্যই সাফল্য আসবে। কাজেই নিজের প্রতি ইতিবাচক চিন্তা ধরে রাখুন। সকল ক্ষেত্রে বাধার কথা মাথায় না রেখে সাফল্যের কথা ভাবুন। সে উদ্দেশ্যেই কাজ করুন।
* নিজের মন-মানসিকতা এমন ভাবে তৈরি করুন, যাতে নিজেকে ভাবতে পারেন পৃথিবীর সবচাইতে সুখী মানুষ। সুখী থাকতে প্রয়োজনীয় হল নিজেকে বিশ্বাস করা। কখনো নিজের সঙ্গে অন্যায় করবেন না। কোনো কাজে ভুল হলে নিজেকে দোষারোপ করবেন না। অযথা অন্যের উপরও দোষ দেবেন না।
* আমাদের জীবনে অনেক ধরনের শখ আহ্লাদ থাকে। কিন্তু সব শখ পূরণ করা সম্ভব না, তবে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। নিজের ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিন। আর সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা চালান। ভাবতে শিখুন, জীবনে যা পাবেন তা শ্রেষ্ঠ উপহার।
* ক্ষমাশীল হওয়া জীবনের সবচাইতে বড় গুণ। যখন নিজের অপরাধ ও অন্যের অন্যায় ক্ষমা করে দিতে পারবেন, তখন নিজেকে পৃথিবীর সবচাইতে সুখী মানুষ মনে হবে। সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকার চেষ্টা করুন।
* শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে নিয়মিত অনুশীলন করুন। কারণ স্বাস্থই সকল সুখের মূল। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। বাইরের খাবার, ফাস্ট ফুড ত্যাগ করুন। মাঝে মাঝে জোরে নি:শ্বাস নিন। নিয়মিত হাঁটা এবং ব্যায়াম এর অভ্যাস গড়ে তুলুন। আর একটু চেষ্টা করলে আপনি নিজেই বুঝবেন কি করলে আপনার শরীর ভালো থাকবে।
* অপরের ব্যপারে অধিকার না থাকলেও কিছু করতে যাওয়া একদম বোকামী। অন্যের ত্রুটির দিকে নজর না দিয়ে নিজের ব্যপারে সচেতন হোন। নিজের কাজ মনোযোগ দিয়ে করুন। দেখবেন কাজের উন্নতিতে মনে শান্তি আসবে। সঙ্গে পরশ্রীকাতরতাও ত্যাগ করতে হবে। মনের শান্তি বজায় থাকবে।
* অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া উচিৎ। কিন্তু সে ভুলের কষ্টকে বুকে ধারণ করে ভবিষ্যত নষ্ট করার কোনো মানে নেই। যে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে কাজে লাগায় সেই সুখী হয়।
* সমালোচনার মুখে পড়বেন অনেক সময়। তার থেকে শিক্ষা গ্রহন করুন। কিন্তু তা ব্যক্তিত্বে আঘাত বলে ধরে নেয়া ঠিক নয়। আবার প্রশংসিতও হতে পারেন। এতে আবার গলে যাবেন না। স্বাভাবিক থাকার অভ্যাস বাড়ান।
* একজন ভালো শ্রোতাই পারেন সময়মত অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। শুধু তাই নয়, ভালো শ্রোতা হওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল দ্রুত জ্ঞানার্জন করা যায়। অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করাও হয়। এতে করে আত্মবিশ্বাস বাড়ে যায়। আত্মবিশ্বাস এবং জ্ঞান আপনার কাজে নিরাপত্তা ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।