রান্না করতে গিয়েছেন আর হাত পুড়ে যায় নি এমন ঘটনা খুব একটা ঘটে না। জীবনে একবার না একবার হাত পোড়ানোর অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। ভাতের মাড় ফলতে গিয়ে, টোস্ট বানাতে গিয়ে, বা কোনো কিছু রান্না করতে গিয়ে আমাদের যে কারোরই হাত পুড়তে পারে। এই ছোটখাটো পুড়ে যাওয়ার সমাধান করুন ঘরোয়া কিছু উপায়ে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই সমস্যার সমাধানের উপায়গুলো।
১। আলু
আলু কয়েক টুকরা কেটে নিন। এবার এই আলু পোড়া জায়গা লাগিয়ে নিন। ভাল করে লাগাবেন যাতে আলুর রস পোড়া জায়গাটায় লাগে।
আরেকটি উপায় হল আলু কুচি করে রস বের করে নিন। এই রস পোড়া স্থানে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। আলুর অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান আছে যা ত্বককে ঠান্ডা করে দেয়।
২। অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা পাতা কেটে এর থেকে জেল বের করে নিন। এবার এই জেল পোড়া স্থানে লাগান।
আপনি চাইলে অ্যালোভেরা জেলের সাথে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি পুড়ে যাওয়া স্থানের জ্বলাপোড়া কমিয়ে দেবে। অ্যালোভেরা গাছের জেল দেওয়া সম্ভব না হলে অ্যালোভেরা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
৩। নারকেল তেল এবং লেবুর রস
এক চা চামচ নারকেল তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার এটি পোড়া দাগের স্থানে লাগান। নারকেল তেলে ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি এসিড, লাউরিক এসিড, আছে যা অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপাদান। এগুলো ত্বকের জ্বলাপোড়া রোধ করে থাকে।
৪। মধু
মধুতে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান আছে যা ত্বকের পোড়া আরোগ্য সাহায্য করবে।
পোড়া স্থানে মধু দিয়ে নিন। তারপর ব্যান্ডেজদিয়ে পুরো জায়গাটা পেচিয়ে রাখুন। এই ব্যান্ডেজ দিনে তিন চার বার পরিবর্তন করুন।
৫। ভিনেগার
ভিনেগার এবং আপেল সিডর ভিনেগার সমান পরিমাণের পানির সাথে মিশিয়ে নিন। এটি পোড়া স্থানে লাগান।
কিছুক্ষণ পর ভিনেগার ভেজানো কাপড় দিয়ে পোড়া স্থানটি পেচিয়ে রাখুন। দিনে কয়েকবার এটি পরিবর্তন করুন।
টিপস
দেহের পুড়ে যাওয়া অংশে ১০-১৫ মিনিট পর্যন্ত পানি ব্যবহার করুন। খেয়াল রাখুন ব্যবহার করা পানি যেন খুব ঠাণ্ডা না হয়।
পুড়ে যাওয়া স্থানে বরফ ম্যাসেজ করা থেকে বিরত থাকুন। এই জন্য পুড়ে যাওয়া অংশে অবস্থিত টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কখনো দেহের কোন পোড়া অংশে বাটার ব্যবহার করবেন না।
একটি পরিষ্কার ও সম্পূর্ণ শুকনো তোয়ালে দিয়ে পুড়ে যাওয়া স্থান টি ধীরে ধীরে মছে তারপর কোন ক্রিম লাগাবেন।