* ঘুমানোর জায়গা অবশ্যই নিঃশব্দ রাখুন কারন আমরা ঘুমিয়ে গেলেও আমাদের মস্তিষ্ক জেগে থাকে। ছোটখাট শব্দেও সে বিচলিত হয়ে উঠতে পারে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই শব্দহীন পরিবেশে ঘুমাতে যান। এমনকি আশেপাশে ফোনও রাখবেন না। কারণ রিংটোন যতই কমানো থাকুক না কেন, তা রাতে অনেক জোরে শোনা যায় এবং ঘুম ভেঙে যায়।
* ঘুমানোর সময় ঘর অন্ধকার করে নিন। গাঢ় অন্ধকারে মস্তিষ্ক দ্রুত প্রশান্তি লাভ করে। ড্রিম লাইটের আলোও আপনার আরামের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই শান্তিতে ঘুমাতে চাইলে অবশ্যই অন্ধকার ঘরে ঘুমান।
* রাতের খাবার গ্রহণের করার পর পরই ঘুমাতে যাবেন না। খাবার গ্রহণ এবং ঘুমের মধ্যে অন্তত দু ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন। কারণ ঘুমানোর পর আমাদের শারীরিক প্রক্রিয়াগুলোর গতি ধীর হয়ে যায়। খাবার গ্রহণের পর পরই ঘুমিয়ে গেলে তা হজমে ব্যাঘাত ঘটায় এবং শরীরে অস্বস্তি বোধ হয়। এতে ভালো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
* ঘুমের সময় নির্দিষ্ট করে নিন যে প্রতিদিন অবশ্যই একই সময়ে ঘুমাতে যাবেন। কারন সঠিক সময়ে ঘুমিয়ে পড়তে পারলে ঘুম পরিপূর্ণ হয় পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।
* প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। প্রথম দিকে ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখতে পারেন। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পর অ্যালার্ম ছাড়াই ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস হয়ে যাবে। আর ঘুম যদি ঠিকমতো হয়, তাহলে অ্যালার্মেরও প্রয়োজন হবে না।
* অবশ্যই প্রতিদিন কিছু না কিছু ব্যায়াম করুন। এটি আপনাকে সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি শান্তিতে আরাম করে ঘুমাতে সাহায্য করবে।
* ঘুমাতে যাবার সময় বই বা পত্রিকা সাথে নিয়ে বিছানায় যাবেন না। বই পড়লে ঘুম আসলেও ঘুমাতে ইচ্ছে করে না। সব শেষ করে তবেই বিছানায় যান।
* বিছানায় যতটা সম্ভব জিনিসপত্র কম রাখুন। বালিশ ছাড়া বিছানায় আর কোনো কিছুই নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না। যদি চাদর, কাঁথা বা কম্বলের প্রয়োজন না থাকে তাহলে বিছানায় এসব রাখবেন না। কারণ এসবও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। ঘুমন্ত অবস্থায় এসব শরীরে লাগলে অস্বস্তিতে ঘুম ভেঙে যেতে পারে।
* ঘুমানোর আগে চা, কফি বা ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন। কারণ কফির ক্যাফেইন ঘুমে বাধা প্রদান করে। চা, সিগারেট মস্তিষ্কে উদ্দীপনার সৃষ্টি করে।