*প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে পানি পান করা। মহিলাদের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস (২ লিটার), পুরুষদের জন্য ১২ গ্লাস(৩ লিটার) পানি খেতে হবে। এটি সারাদিনের সব রকমের পানীয়র হিসাব। তবে যারা ব্যায়াম করেন, তারা আরো বেশি পানি পান করবেন।
*রাতের খাবার ঘুমানোর তিন ঘন্টা আগে খেয়ে নিবেন।
*রাতে ঘুমানোর সময় ক্ষুধা লাগলে কিছু না খাওয়াই ভালো, তবে ফ্যাট ছাড়া দুধ খেতে পারেন।
*খাবারে শর্করার পরিবর্তে সবজি ও ফল রাখুন। কারণ এগুলোতে আছে প্রচুর ভিটামিন, antioxidant ও ফাইবার।
*সালাদ বেশি বেশি খাবেন, দুপুর ও রাতের খাবারের সাথে অবশ্যই সালাদ রাখবেন।
*মাংস কম খেয়ে মাছ বেশি খাবেন। গরুর মাংস না খাওয়াই ভালো।
*সাদা আটার রুটি না খেয়ে, লাল আটার রুটি খান।
*প্রতিদিন টক দই (চিনি ছাড়া) খাওয়ার চেষ্টা করা।
*সবজি, ফল, সালাদ বেশি খাবেন। ভাত অবশ্যই কম খাবেন।
*পরিমিত পরিমানে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।
*তিন বেলা ভর পেটে না খেয়ে, অল্প অল্প করে ৫/৬ বার খাওয়া। দুই, তিন ঘন্টা পর পর ২০০/৩০০ ক্যালরি খাওয়া সব চাইতে ভালো অভ্যাস।
*সকালের নাস্তা অবশ্যই করতে হবে।
*ভাজা পোড়া, বেশি ক্যালরি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
*প্রানিজ আমিষ সবসময় না খেয়ে উদ্ভিজ আমিষ বেশি খাওয়া, কারণ উদ্ভিজ আমিষ এ ফ্যাট কম থাকে।
*প্রতিদিন একমুঠো কাঠবাদাম স্ন্যাক্স হিসাবে খেতে পারেন। এতে ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়ে, কোলেস্টেরল কমে।
*মিষ্টি জাতীয়, চিনি যুক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে।
*বেশি তেল ও মশলা যুক্ত খাবার বাদ দিন।
*খাবারের মেনুতে প্রচুর ফাইবার সমৃধ্য খাবার যেমনঃ লাল আটা, শাক, বিনস, সালাদ, সবজি, ফল রাখুন। কারণ ফাইবার ওজন কমায়, হজম শক্তি বাড়ায় এবং কোলেস্টেরল কমায়। মহিলাদের জন্য ২১-২৫ গ্রাম এবং পুরুষদের জন্য ৩০-৩৮ গ্রাম ফাইবার খেতে হবে প্রতিদিন।
*খাবারের সাথে অতিরিক্ত লবন না খাওয়া। কারণ অতিরিক্ত লবন শরীরে পানি আনে, বিপি ও ওজন বাড়ায়।
*সপ্তাহে একদিন নিজের পছন্দের খাবার খাওয়া। এটা খাওয়ার রুচি বাড়িয়ে, একঘেয়েমি কমাবে।