মনের মত একটা চাকরি পাওয়া অনেক কঠিন কাজ। আর সেটা যদি হয় ব্যাংকের চাকরি, কাজটা যেন তখন আরও কঠিন হয়ে যায়। আজকাল তরুণদের স্বপ্নের তালিকায় প্রথমদিকেই থাকে ব্যাংকে চাকরি। কিন্তু পর্যাপ্ত এবং নিয়মমাফিক প্রস্তুতির অভাবে অনেকের কাছেই এই স্বপ্ন থেকে যায় অধরা। যারা ব্যাংকে চাকরি করতে চান, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
ইংরেজি এবং অংকের উপর জোর দিতে হবে:
“ইংরেজি এবং অংক হচ্ছে অনেকটা প্যারাসিটামলের মত। এর গুরুত্ব সবচাইতে বেশি। যারা ইংরেজি এবং অংকে ভালো তারা খুব দ্রুত ব্যাংকের চাকরি পেতে পারে। আবার ভাইভা বোর্ডে, গ্রুপ ডিসকাসনে বা প্রেজেন্টেশনেও সবকিছু সুন্দরভাবে ইংরেজিতে উপস্থাপন করতে হয়। তাই যারা ব্যাংকে চাকরির স্বপ্ন দেখছেন তারা এই দুটি বিষয় মনযোগ দিয়ে চর্চা করুন।”
সাম্প্রতিক তথ্যে স্বয়ংসম্পন্ন হতে হবে:
“ব্যাংকে চাকরি প্রার্থীদের অবশ্যই সাম্প্রতিক প্রশ্নে স্বয়ংসম্পন্ন হতে হবে। সে লক্ষ্যে প্রতিদিন রাতে একবার সংবাদ দেখা উচিত এবং নিয়মিত সংবাদপত্র পড়া উচিত। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো একটা খাতায় লিখে রাখতে হবে। এই খাতাটা পরীক্ষার আগে পড়লে ভালো ফল দিবে। এছাড়া প্রতি মাসের সাম্প্রতিক তথ্য বিষয়ক যে কোন একটা বইও নিয়মিত পড়া উচিত।”
বিগত সালে বিভিন্ন ব্যাংক পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের সমাধান করতে হবে:
“বিগত সালে ব্যাংক পরিক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমাধান করতে হবে। আর এটা করতে পারলে ব্যাংকের প্রশ্ন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা মিলবে। কোন ব্যাংকের প্রশ্ন করে আইবিএ, কোনটা করে বিআইবিএম, কোনটা করে ঢাবির বিজনেস ফ্যাকাল্টি। তাই প্রশ্ন পদ্ধতি বোঝার জন্য এবং প্রস্তুতিকে পরিপূর্ণ করার পুরনো প্রশ্নগুলো চর্চার কোন বিকল্প নেই।”
কম্পিউটার, মানসিক দক্ষতা এবং সাধারণ জ্ঞানের চর্চা করতে হবে নিয়মিত:
“প্রথমেই বলেছি অংক এবং ইংরেজির কথা। তবে ব্যাংকের পরিক্ষায় কম্পিউটার, মানসিক দক্ষতা এবং সাধারণ জ্ঞানের চর্চাও বেশ গুরুত্ব সহকারেই করতে হবে। এসব বিষয়ের জন্য বাজারের প্রচলিত যে কোন একটা ভালো বই অনুশীলন করলেই চলবে। আর হাতে কলমে কম্পিউটার ব্যবহার, বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা বেশ ভালো ফল দিতে পারে।”
ভাইভার জন্যও রাখতে হবে প্রস্তুতি:
অনেকেই মনে করেন আগে লিখিত এবং অন্যান্য পরীক্ষায় উত্তীর্ন হই, তারপর ভাইভার প্রস্তুতি নেব। কিন্তু এটি সম্পূর্ন ভুল চিন্তাধারা। লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির সাথে সাথে ভাইভার প্রস্তুতিও রাখতে হবে। “আপনি যে বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর করেছেন সে বিষয়ে ভাইভা বোর্ডে অবশ্যই প্রশ্ন করা হবে। প্রশ্ন করা হতে পারে আপনার জেলাকে নিয়ে। এছাড়া ব্যাংক বিষয়েও বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। তাই ভাইভার জন্য সবসময় নিজেকে আপডেট রাখতে হবে। বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা রাখতে হবে। ”
প্রস্তুতিকে ভালবাসতে হবে, দিতে হবে পর্যাপ্ত সময়:
“ব্যাংকের চাকরির প্রস্তুতিকে ভালবাসতে হবে। কারণ মানুষ কোন বিষয় ভালোবেসে বা মন থেকে করলে ইতিবাচক ফল আসবেই। প্রস্তুতি নিয়ে কোন হেলাফেলা চলবে না। প্রতিদিন রুটিন মেনে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো অনুশীলন করতে হবে। তাহলেই আসবে কাঙ্ক্ষিত ফল, পূরণ হবে ব্যাংকার হওয়ার স্বপ্ন।”