মূত্রনালীর যত রোগ আছে, এর মধ্যে পাথরজনিত রোগ সবচেয়ে বেশি। প্রতি ২০ জনের মধ্যে একজন কিডনির পাথরে ভোগেন। এই পাথর আকারে ক্ষুদ্র শস্যদানা থেকে শুরু করে টেনিস বল আকৃতির পর্যন্ত হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগেই ছোট পাথরগুলো প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায়। তবে কিডনির পাথর সাধারণত আকারে ছোট হয়ে থাকে। কিডনির ভেতরে কঠিন পদার্থ জমা হয়ে পাথর হয়। সাধারণত খনিজ এবং অম্ল লবণ দিয়ে কিডনির পাথর তৈরি হয়।
কী করে বুঝবেন কিডনিতে পাথর?
মূত্রনালীতে পাথর না যাওয়া পর্যন্ত কিডনিতে পাথর হওয়ার কোনো লক্ষণ ও উপসর্গ সাধারণত বুঝা যায় না। কিডনিতে পাথর হলে সাধারণত যেসব লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয়:
# পিঠের দুই পাশে এবং পাঁজরের নিচে ব্যথা হওয়া ও তলপেট এবং কুঁচকিতে ব্যথা ছড়িয়ে যাওয়া।
# প্রস্রাব ত্যাগের সময় ব্যথা হওয়া
# প্রস্রাবের রঙ গোলাপী, লাল অথবা বাদামী হওয়া।
# বারবার প্রস্রাবের বেগ পাওয়া।
# যদি কোনো সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে জ্বর এবং কাঁপুনি হওয়া।
# বমিবমি ভাব এবং বমি হওয়া।
যাদের বেশি হয় :
নারীদের তুলনায় পুরুষদের পাথর হওয়ার হার বেশি (৩:১)। ৪০ বছরের পর থেকে পুরুষদের পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। আর ৭০ পর্যন্ত বাড়তেই থাকে। নারীদের ক্ষেত্রে তা ৫০ বছর বয়স থেকে বাড়তে থাকে। তবে যেকোনো সময়ে যে কারও কিডনি বা মূত্রনালীতে পাথর হতে পারে। এ ছাড়া যাদের একাধিকবার পাথর হয়েছে, তাদের বারবার হতে পারে। যাদের প্রস্রাবের প্রদাহ বেশি হয়, টিউবুলার অ্যাসিডোসিস রয়েছে তাদেরও হতে পারে। টিউবুলার অ্যাসিডোসিস একটি বংশগত রোগ। এই রোগীর ৭০ শতাংশেরই কিডনিতে পাথর হয়।
প্রাকৃতিক উপায়ে নিজেই করুন সমাধান :
যারা ছুরি-কাঁচির নাম শুনলেই ভয়ে গায়ে জ্বর আসে। তারা বিনা অপারেশনে কিডনি স্টোন থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাদের জন্য রইল তরমুজ আর সেলারি বিচি দিয়ে তৈরি দু’টি প্রাকৃতিক উপায়।
আধ লিটার ফুটন্ত পানিতে এক টেবিল চামচ তরমুজের বিচি গুঁড়া করে মিশিয়ে দিন। ঠাণ্ডা হলে চায়ের মতো পান করুন। একইভাবে এক টেবিল চামচ টাটকা সেলারি বীজ গুঁড়া করে বা কুঁচিয়ে আধ লিটার ফুটন্ত পানিতে মিশিয়ে দিন। ঠাণ্ডা হলে চায়ের মতো পান করুন। যা রোজ একবার বা সপ্তাহে তিনবার পান করতে পারেন। দেখবেন দিন দিন ভালো হয়ে উঠছেন আপনি। তবে গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে এটি করা যাবে না।