সুস্বাস্থ্যের জন্য আমরা অনেক স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকি। এমনকি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে আমরা খেয়ে থাকি নানা রকমের খাবার। কিন্তু মস্তিষ্ক কার্যক্ষম করতে আমরা কি করে থাকি? কিছুই না। U.K. এক গবেষণায় দেখা গেছে উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার ক্ষুধা নিবারণ করার সাথে সাথে আপনার নার্ভের ক্ষতি করে থাকে।Katzexecutive chef at Food As Medicine and founder of Healing Kitchens Institute in Bolinas, California বলেন “ আমরা দেখেছি আমাদের মস্তিষ্কের কোষ পূর্ণবিন্যাস হয় সঠিক ডায়েট এবং ব্যায়ামের উপর নির্ভর করে। আমরা অনেক খাবার খাই যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার, কিন্তু কিছু খাবার আছে যেগুলো আসলে আমাদের মস্তিষ্কের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ”।
১। ফ্যাটি ফিশ বা তৈলাক্ত মাছ
এসেন্সিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড (EFAS) শরীরে তৈরি হয় না, এটি খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। তৈলাক্ত মাছে EPA এবং DHA আছে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। সয়াবিন, মিষ্টি কুমড়া বীচি, কাজুবাদাম তেল, সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে।
২। কাঠবাদাম
Katz এর মতে কাঠবাদাম শরীরে ইনফ্ল্যামেশন দূর করে মুড ভাল করে থাকে। এর সাথে মস্তিষ্কের বয়স কমিয়ে দেয়। নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়া হতাশা দূর করে দেয়।
৩। পালং শাক
Tufts University এর মতে পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে, যা স্মরণশক্তি হ্রাস রোধ করে। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মহিলারা পালং শাক খেয়েছেন তাদের স্মরণশক্তি যারা পালং শাক খাননি তাদের থেকে বেশি হয়ে থাকে।
৪। ডার্ক চকলেট
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ডার্ক চকলেট স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি কিন্তু এর ক্যাফিন উপাদান মস্তিষ্কের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চকলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল সচল রেখে রক্তে কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ ঠিক রাখে।
৫। বিট
ব্রেন ফুডের মধ্যে বিট অন্যতম। এর ভিটামিন বি৯ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল সচল রেখে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। প্রতিদিনকার সালাদ বা রান্নায় যোগ করুন বিট।
৬। রসুন
American Cancer Society এক জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রসুন ব্রেন ক্যানসার প্রতিরোধ করে থাকে। রসুনের ওরিগেনো সালফার গিলোব্লাসটোমা কোষ ধ্বংস করে দেয়, যা ব্রেইন ক্যানসার সৃষ্টি করে থাকে।
৭। অ্যাভোকাডো
মনোস্যাচুরেটড ফ্যাট মস্তিষ্কের কোষ রক্ষা করে থাকে। অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণের মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে যা ভ্যাসকুলার হেলথ এবং রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখে।
এই খাবারগুলোর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার প্রয়োজন। পানি শরীর হাইড্রেট করার সাথে সাথে মস্তিষ্ককে ও সচল রাখে।