অনেক মানুষই আছেন যারা কোনো না কোনো সময় একবার হলেও ফুড পয়জনিং সমস্যায় ভুগেছেন। ফুড পয়জনিং মূলত হয়ে থাকে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা যে সকল খাবারে টক্সিন থাকে এগুলোর জন্য।
তাছাড়া আরও কিছু লক্ষন হল বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, পেটে ব্যথা, ও ডায়রিয়া। ফুড পয়োজনিং হলে তা কখনোই ভালো হয়ে যাবে চিন্তা করে এড়িয়ে যাবেন না।
যখন আপনি ফুড পয়জনিং সমস্যায় ভুগবেন তখন দেহ থেকে প্রচুর পানি বেড়িয়ে যায়।। তাই এই সময় প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া উচিৎ এবং ফুড পয়জনিং সমস্যায় ঘরে বসেই এর চিকিৎসা করা যায়। জেনে নিন উপায়গুলো।
আদা
দেহের যেকোন ধরণের সমস্যা সারিয়ে তোলার ক্ষমতা আদার মধ্যে আছে এবং ফুড পয়জনিং সারিয়ে তুলতেও খুব সহায়ক।
১. ফুড পয়জনিং সমস্যায় দুপুরে খাওয়ার পরে এক কাপ আদা চা খেয়ে নিন এটি হার্টের জ্বালাপোড়া রোধ করবে, বমি ও অন্যান্য সমস্যাও রধ করবে। আদা চা বানাতে প্রথমে একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে গ্রেট করা আদা দিয়ে বয়েল করে নিন। তারপর সামান্য চিনি মিশিয়ে খেয়ে নিন।
২. আদা জুসের সাথে মধু মিশিয়ে নিন তারপর দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার এই মিশ্রণটি খেয়ে নিন। এটি দেহের জ্বালাপোড়া ও ব্যথা রোধ করবে।
৩. চাইলে আদা গ্রেট করে আপনি চিবিয়েও খেতে পারেন।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারে আছে এলকালাইন উপাদান যা দেহের মেটাবলিজমে সাহায্য করে। তাছাড়া ফুড পয়জনিং হওয়ার লক্ষণগুলোও রোদ করে থাকে এই ভিনেগার। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল আস্তরণ প্রসারিত করে এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
১. এক গ্লাস পরিষ্কার পানির সাথে ২ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন খাবার খাওয়ার আগে খেয়ে নিন।
২. চাইলে আপনি সরাসরি ৩ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার খেয়ে নিয়ে পারেন।
লেবু
লেবুতে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ফুড পয়জনিং সমস্যা রোধ করতে সহায়ক। লেবুর মধ্যে এসিডের উপস্থিতি ফুড পয়জনিং এর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে থাকে।
১. এক চামচ লেবুর রসের সাথে ১ চিমটি চিনিয়ে মিশিয়ে দিনে ২/৩ বার খেয়ে নিন।
২. কুসুম গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়েও খেতে পারেন।