শহরগুলোতে দিন দিন মাঠের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে শিশুরা বিকেলের সময়েও খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু শিশুদের শারীরিক ও মানসিক গঠনের জন্যে খেলাধুলা করাটা জরুরী। খেলার জায়গা না পেয়ে ছেলেমেয়েরা টেলিভিশন দেখার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে শিশুদের জন্য তা অনেক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ ক্ষতিকর বিষয়গুলো নিম্নরূপঃ
১। যে শিশুরা দিনে ৪ ঘন্টার চেয়ে বেশি টিভি দেখতে অভ্যস্ত তাদের প্রত্যেকেরই প্রয়োজনের তুলনায় ওজন অনেক বেশি। এর মাধ্যমে শিশুরা অনেক জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
২। শিশুরা যা দেখে তাই শিখে থাকে। ফলে টিভি চরিত্রগুলো যদি খারাপ হয় কাজ করে তবে শিশুরাও খারাপ কাজ করতে শিখে। তাদের মনে এটার এতই বিরূপ প্রভাব পড়ে যে তাদের ব্যবহারও অনেক রুক্ষ হয়ে উঠে। আবার কিছু ছেলেমেয়ে টিভি দেখার পর অনেক ভীত হয়ে যায়। কারণ তারা মনে করে যে ধরনের কাহিনী টিভিতে দেখানো হয় সেধরনের কিছু তাদের জীবনেও ঘটতে পারে।
৩। অনেক সময় কাহিনীর প্রয়োজনে শিশুদের প্রিয় চরিত্রগুলোকে ধূমপান করে বা ড্রাগ নিতেও হয়। সেগুলো দেখেও শিশুদের ক্ষতি হতে পারে। তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে অভ্যস্ত হয়ে পড়তে পারে। যেমন, সুপারম্যানের চরিত্র দেখে অনেক শিশু ছাদ থেকে উড়ার চেষ্টা করতে গিয়ে অকালে প্রাণ হারায়।
৪। টিভি দেখার কারণে অনেক সময় শিশুরা সামাজিকীকরণ বিদ্যা শিখতে পারে না। ফলে তারা অনেকেই সামাজিক বা ধর্মীয় নীতিরীতি মানে না। এর মাধ্যমে তার মানসিক অবস্থার অধঃপতন হতে পারে।
৫। টিভি দেখার মাধ্যমে শিশুদের চোখের ও ব্রেইনের ক্ষতি হয়। টিভি থেকে যে ক্ষতিকর রশ্মি বের হয় তা কোমলমতি শিশুদের চোখের মারাত্নক ক্ষতিসাধন করে। আর টিভি দেখার কারণে শিশুদের চিন্তার জগতটা ছোট হয়ে আসে।