কিডনি ইনফেকশন মানবদেহের মারাত্মক রোগগুলোর মধ্যে একটি। কিডনি ইনফেকশন ধরণের সমস্যাকে মূলত নীরব ঘাতক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কারণ খুব সমস্যা না হওয়া পর্যন্ত কিডনি ইনফেকশনের সমস্যা ঠিকমতো বুঝে উঠা যায় না। যার কারণে চিকিৎসা পিছিয়ে পড়ে অনেকাংশেই।
এতে করে রোগীর মৃত্যুর আশংকা বাড়তে থাকে। তাই জেনে রাখা ভালো কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণসমূহ, যাতে চিকিৎসায় খুব বেশি দেরি না হয়ে যায়।
কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণসমূহ-
১) অতিরিক্ত তাপমাত্রায় জ্বর হওয়া
২) জ্বরের সাথে নিয়ন্ত্রনবিহীন কাঁপুনি হওয়া
৩) বমি ভাব, বমি হওয়া এবং ডায়রিয়া
৪) ক্ষুধা মন্দা ভাব আসা
৫) অতিরিক্ত দুর্বলতা অনুভব হওয়া
৬) পিঠের নিচের অংশের একদিকে ও কুঁচকিতে ব্যথা হওয়া
৭) ঘন ঘন প্রস্রাব
৮) প্রস্রাবের সময় জ্বলুনি ও জ্বালাপোড়া করা
৯) ঘোলাটে ধরণের প্রস্রাব হওয়া
১০) প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া
লক্ষণগুলো দেখা দেয়া মাত্রই যতো দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত।
জেনে নিন ৩ টি কার্যকরী প্রতিরোধ ব্যবস্থা
রোগ হওয়ার পর চিকিৎসা করার চাইতে, আগে নিজেকে রোগে আক্রান্ত ও মারাত্মক রোগাক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা অর্থাৎ প্রতিরোধ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাই জেনে নিন কিডনি ইনফেকশন প্রতিরোধের ঘরোয়া ৩ টি কার্যকরী প্রতিরোধ ব্যবস্থা-
১) বেকিং সোডা
বেকিং সোডা আমাদের ইউরিনারি ট্র্যাক্ট অর্থাৎ মূত্রনালির অ্যালকালাইনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন নিয়মিত ১ গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করলে কিডনি ইনফেকশনের সমস্যা দূর করা সম্ভব।
২) রসুন
প্রতিদিন ২-৩ কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস কিডনি ইনফেকশন দূরে রাখে। রসুনের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান কিডনির সুস্ততায় দারুণ কার্যকরী।
৩) অ্যালোভেরা জুস
অ্যালোভেরা অর্থাৎ ঘৃতকুমারীর জুস নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। অ্যালোভেরার জুস কিডনির ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে। তাই প্রতিদিন অন্তত ১ গ্লাস অ্যালোভেরার জুস পান করা উচিত।