লবণ আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য উপাদান। কিন্তু অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের ফলে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। আপনি প্রতিদিন যে পরিমাণ লবণ খান, তা কিছুটা কমিয়ে দিলে উচ্চরক্তচাপ ও নানা ধরনের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানীর এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি দিনে ৬ গ্রাম বা তারও কম লবণ গ্রহণ করতে পারেন। অধিক লবণ গ্রহণের ফলে আমরা যে সকল রোগে ভুগে থাকি, তার বর্ণনা নিচে দেয়া হলো-
*উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ অধিক পরিমাণে লবণ। লবণের কারণে আমাদের শরীর পানি ধরে রাখে। কিন্তু অতিরিক্ত পানির কারণে আমাদের ব্লাড প্রেশার বেড়ে যায়। অতিরিক্ত লবণ সেবন প্রেশার নিয়ন্ত্রণের ওষুধের কার্যকারিতাও কমিয়ে দেয়। উচ্চ রক্তচাপের কারণে শতকরা ৬৪ ভাগের স্ট্রোক হয়ে থাকে। সুতরাং অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ স্ট্রোকের জন্য সরাসরি দায়ী।
*মজবুত হাড়ের জন্য ক্যালসিয়াম অমূল্য উপাদান। কিন্তু অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে Urine- এর মাধ্যমে ক্যালসিয়াম শরীর থেকে বের হয়ে যায়। যার ফলে আমাদের হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়ে হাড় পাতলা হয়ে যায়। একে বলা হয় অস্টিওপোরোসিস।
*অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের কারণে পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে অধিক লবণ পাকস্থলীর ত্বক নষ্ট করে। তখন পাকস্থলী এক ধরণের ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। যার ফলে পাকস্থলীর ক্যান্সার হয়।
আমরা অনেকে বুঝতে পারি না কিভাবে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করা যায়। কিন্তু একটু ইচ্ছে থাকলেই অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বাড়তি কাঁচা লবণ বা পাতে লবণ খাওয়া পরিহার করুন। আমরা সবাই প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন- চিপস, ক্রেকার্স, কেচআপ, লবণ-বাদাম, পনির পছন্দ করি কিন্তু প্রসেসড ফুডে সোডিয়াম মেশানো হয় সংরক্ষণের জন্য। বরই, তেঁতুল, আমলকী, আমড়া, জলপাই এ জাতীয় টক ফল লবণ দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। দেখবেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ আর খাওয়া হচ্ছেনা। একটু সচেতন হয়ে সুস্থ্য থাকুন।