কাঁচকলা আমাদের চেনা সবজি। পেটের পীড়া বা রক্তশূন্যতার সময় এই সবজি বেশি খাওয়া হয়। সহজলভ্য এই সবজি সম্পর্কে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার বলেন, সবজি হিসেবে কাঁচকলার গুণের শেষ নেই। নানাভাবে কাঁচকলাকে খাওয়া যায়। সবভাবেই এর খাদ্যগুণ ঠিক থাকে।
শক্তি জোগায়: এতে প্রচুর ক্যালরি থাকে। মাত্র ১০০ গ্রাম কাঁচকলায় ক্যালরি থাকে ৮৩ গ্রাম। তাই শরীরের ক্ষয় পূরণে এবং কর্মক্ষমতা বাড়াতে খেতে পারেন কাঁচকলা।
পটাশিয়ামের উৎস: কাঁচকলার পটাশিয়াম স্নায়ু ভালো রাখতে ও মাংশপেশির কর্মক্ষমতাকে সচল রাখতে কাজ করে। তাই নিয়মিত কাঁচকলা খেলে মাংসপেশিতে জড়তাজনিত রোগ সহজেই এড়ানো যায়।
হজমে সহায়ক: যাঁদের পরিপাকতন্ত্রে গোলযোগ দেখা দেয়, তাঁরা কাঁচকলায় সমাধান খুঁজতে পারেন। কাঁচকলার উপাদানগুলো খাদ্যবস্তু হজমে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ডায়রিয়ার পথ্য: এটি ডায়রিয়া নিরাময়ে যেমন সক্ষম, তেমনি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগেরও ওষুধ।
রক্তশূন্যতা এড়াতে: যাঁরা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন, তাঁরা নিয়ম করে খেতে পারেন কাঁচকলার তরকারি।
ক্লান্তি দূর করতে: এই সবজিতে আছে হজমযোগ্য শর্করা, যা শরীরে দ্রুত শক্তি জোগান দেয় এবং শরীর থেকে ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে।
হাড়ের সুরক্ষা: কাঁচকলাতে ক্যালসিয়াম থাকে প্রচুর। এই ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে এবং হাড়ের সুরক্ষায় কার্যকর।