শসার রয়েছে হাজারো গুণ। খাওয়ার পাশাপাশি রূপচর্চার কাজেও লাগে এই সবজি। ওজন কমাতেও শসার জুড়ি নেই। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শসা থাকা উচিৎ।
বিশেষজ্ঞরা শসার অনেক উপকারীতা সম্পর্কে জানান। এর মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপ-
১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রক্তচাপ
শসা উচ্চ ও নিম্ন দু’ধরনের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। শসাতে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এই তিনটি উপাদান ক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
২. কিডনির সুস্থতায়
শসার মধ্যে জলীয় উপাদানই বেশি। এই জলীয় অংশ শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এতে কিডনি সুস্থ থাকে। তাছাড়া কিডনির পাথর প্রতিরোধেও শসার তুলনা নেই।
৩. ক্যানসার প্রতিরোধ
বিভিন্ন রকম ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে শসা। তার মধ্যে প্রধানত জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থির ক্যানসার প্রতিরোধে শসা বেশি কার্যকর।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
প্রতিদিন নিয়ম করে শসা খেলে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয়, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। তাই যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের প্রতিদিন অন্তত একটি করে শসা খাওয়া দরকার।
৫. ওজন কমাতে
শসার মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রায় নেই বললেই চলে। তাই নিশ্চিন্তে যত খুশি খেতে পারেন শসা। এতে মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে। আর যারা একটু মোটা তাদের ওজনও কমাতে সাহায্য করবে শসা।
৬. পানির চাহিদা মেটাতে
শসার প্রায় ৯০ শতাংশই হচ্ছে পানি। তাই পানির চাহিদা মেটাতে শসার তুলনা নেই। সারাদিনে যে পরিমাণ পানি দরকার তা যদি পান না করতে পারেন তবে শসা খেয়ে নিন। শসা পানির চাহিদা মেটাবে।
৭. দেহের তাপ শোষণ
প্রচণ্ড গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত! একটি শসা খেলে জুড়িয়ে যাবে আপনার শরীর। শসা দেহের তাপ শোষণ করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে ত্বকে ঘষে নিন। নিশ্চিত ভালো ফল পাওয়া যাবে।
৮. রূপ চর্চায়
রূপচর্চার অংশ হিসেবে শসা এখন অনেকেরই নিত্যসঙ্গী। শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখলে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়। তাছাড়া শসা মুখে ঘষে দিলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।