ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। বিশেষ করে হাড় ও দাঁতের সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড়ের দূর্বলতার পাশাপাশি শরীরে নানান রকমের বিরূপ প্রভাব পড়ে। এমনি ভিটামিন ডি এর অভাবে ওজনও বেড়ে যায়। তাই ভিটামিন ডি এর অভাব আছে কিনা সেটা আগেই সনাক্ত করে সেই অভাব পূরণ করে ফেলা উচিত। জেনে নিন কিছু লক্ষণ সম্পর্কে যেগুলোর মাধ্যমে বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব আছে।
মাংসপেশীর দূর্বলতা
মাংসপেশীর দূর্বলতার অন্যতম কারণ হতে পারে শরীরের ভিটামিন ডি এর অভাব। বিশেষ করে মাংসপেশী বেড়ে যাওয়া এবং মাংসপেশী কাঁপার মতো সমস্যাগুলো সাধারণত ভিটামিন ডি এর অভাবেই হয়ে থাকে।
বিষণ্ণতা
ভিটামিন ডি এর অভাবে বিষণ্ণতা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। সারাক্ষণ মানসিক চাপ অনুভূত হলে এবং কোনো কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত বিষণ্ণতায় ভোগা হতে পারে ভিটামিন ডি এর অভাবের প্রভাব।
খুব সহজেই হাড়ে ফাটল
একটু পড়ে গেলে বা আঘাত পেলেই যদি হাড়ে চির ধরে যায় কিংবা প্রচন্ড ব্যাথা বা ফাটল ধরে তাহলে বুঝে নিন যে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব আছে।
দাঁতের ভঙ্গুরতা
একটু শক্ত হাড় চিবুতে গেলেই কি আপনার দাঁত ভেঙ্গে যায়? আপনার দাঁত যদি অতিরিক্ত ভঙ্গুর হয়ে থাকে তাহলে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব থাকার সম্ভাবনা আছে।
উচ্চ রক্তচাপ
অতিরিক্ত রক্তচাপও হতে পারে ভিটামিন ডি এর অভাবের একটি কারণ। শরীড়ে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি না থাকলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
ঘুমের ব্যাঘাত
আপনার যদি প্রতিদিন ঘুমাতে সমস্যা হয়, দেরিতে ঘুম আসে কিংবা চট করে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সমস্যা থাকে তাহলে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব থাকার সম্ভাবনা আছে। কারণ ভিটামিন ডি এর অভাবে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়।
ভিটামিন ডি এর উৎস:
সূর্যের আলো ভিটামিন ডি এর অন্যতম একটি উৎস। তবে সূর্যের কড়া আলোতে না গিয়ে হালকা রোদ গায়ে লাগান। হালকা রোদে সামান্য ব্যায়ামও করতে পারেন ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণের জন্য। এছাড়াও নিয়মিত দুধ খাওয়ার অভ্যাস করুন। সেই সঙ্গে মাশরুম, স্রিরিয়াল, মাছ, বাদাম, মাখন, পনির ও সূর্যমূখীর তেলেও প্রচুর ভিটামিন ডি আছে।