গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম অথবা শারীরিক চর্চা শিশুকে উচ্চ রক্তচাপের হাত থেকে সুরক্ষিত করে। গবেষনায় দেখা গেছে যেসব মা তাদের গর্ভাবস্থায় কাজের ভেতর থাকেন তাদের সন্তানেরা বেশি সুস্থ থাকে। এসব সন্তানদের বয়স ১০ বছরেও তাদের রক্তচাপ অনেক কম থাকে।
গবেষকেরা জানান, গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করলে শিশুদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কম থাকে। যেসব গর্ভবতী নারী শেষের তিনমাস শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকেন তাদের শিশুদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কম থাকে এবং যেসব শিশু কম ওজন নিয়ে জন্ম নেয় তাদেরও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি থাকে।
কতটুকু ব্যায়াম করা প্রাসঙ্গিক?
গর্ভবতী নারীদের জন্য এনএইচএস ওয়েব সাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যায়াম করা বা শারীরিক পরিশ্রম করা সবসময় বিপদজনক নয়। গর্ভবতী নারীদের প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে ব্যয়ামের পরামর্শ দেয়া হয়। আরও বলা হয় ৩০ মিনিটের বেশি বিশেষ করে একঘন্টা যদি কেউ ব্যয়াম করে তাহলে সেটা এখলামশিয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে যেটা মা ও শিশু উভয়ের জন্যই মারাত্মক হুমকি স্বরূপ।
মার্কিন গবেষকেরা প্রথম এ ব্যাপারে রিপোর্ট প্রকাশ করে বলে শারীরিক সক্ষমতা সম্পন্ন নারীদের গর্ভের শিশুদের উচ্চরক্তচাপ অনেক কম হয় ও যা হৃদরোগের অন্যতম কারণ।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেমস পিভারনিক বলেন, তারা ৫১জন নারীর ওপর এক জরিপ চালিয়ে দেখেছেন যেসব শিশুরা কম ওজন নিয়ে জন্ম নেয় তাদের পরবর্তী জীবনে উচ্চ রক্তচাপের সম্ভবনা থাকে কিন্তু তাদের মায়েরা যদি গর্ভাবস্থায় শারিরীক ভাবে কর্মক্ষম থাকে তাহলে তাদের এই ঝুঁকি অনেক কম থাকে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, কম ওজন সম্পন্ন বাচ্চাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক বেশি হয়।
১২ জনের ওপর চালান অপর এক জরিপে দেখা যায় যে, গর্ভাবস্থার শেষ তিনমাসে শারীরিক পরিশ্রম শিশুদের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং এটি মা ও সন্তানের উভয়ের জন্যই খুবই সহায়ক হিসাবে কাজ করে।
জার্নাল অব স্পোর্টস মেডিসিন এন্ড ফিজিকেল ফিটনেসে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়, প্রতিদিন ব্যয়ামের সঙ্গে সম্পৃক্ত নারীদের শিশুর ওজন বেশি হয় এবং সেটা শিশুদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
গবেষকেরা জানান যে, তাদের এই গবেষনার ফলাফল শিশুদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পারন করবে। গর্ভকালীন সময়ে যদি কোন ধরনের শক্তিশালী কাজ করা হয় সেটা শিশুর স্বাস্থের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব বিস্তার করে।