জীবনে একবারও ত্বকে চুলকানি হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার। খুব সাধারণ এই ব্যাপারটি অসহ্যকর একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় যখন ত্বকের চুলকানি বেড়ে যায়।
অনেকেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আশ্রয় নেয় নানান মলম বা ক্রিমের যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার আছে প্রাকৃতিক কিছু উপায়। ঘরোয়া এই উপায়গুলোতে খুব সহজেই ত্বকের ক্ষতি ছাড়াই চুলকানির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন আপনি। জেনে নিন চুলকানির ঘরোয়া কিছু প্রতিকার সম্পর্কে।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা চুলকানি প্রতিরোধে অত্যন্ত উপকারী। গোসলের সময়ে হালকা গরম পানিতে বেকিং সোডা দিয়ে গোসল করলে শরীরের চুলকানি অনেকটাই কমে যায়।
এক্ষেত্রে একটি চৌবাচ্চাতে ১ কাপ বেকিং সোডা মেশাতে হবে এবং বড় এক বালতি পানিতে ১/২ কাপ বেকিং সোডা মেশাতে হবে। বেকিং সোডা মেশানো পানিতে কমপক্ষে ৩০ মিনিট শরীর ভিজিয়ে রাখার পর শরীর পানি দিয়ে না ধুয়ে শুকিয়ে ফেলতে হবে।
লেবু
লেবুর রসে আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা ত্বকের চুলকানি কমিয়ে দিতে সহায়তা করে। চুলকানির প্রতিকার পাওয়ার জন্য লেবুর রস ব্যবহার করাও খুব সহজ। ত্বকের যে স্থানে চুলকানি অনুভূত হচ্ছে সেখানে লেবুর রস লাগিয়ে শুকিয়ে ফেলুন। চুলকানি কমে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।
তুলসী পাতা
তুলসী পাতায় আছে ইউজেনল যা একটি অ্যান্সথেটিক উপাদান। এই উপাদানটি চুলকানি কমিয়ে দিতে সহায়ক। এক মগ ফুটন্ত পানিতে ১৫/২০টি তুলসী পাতা জ্বাল দিয়ে নির্যাস বের করে নিন। এরপর একটি পরিষ্কার টাওয়েলে পানিটি লাগিয়ে হালকা গরম থাকা অবস্থাতেই চুলকানির স্থানে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ আরাম অনুভূত হবে।
পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতারও আছে অ্যান্সথেটিক ও ইনফ্লেমেটরি উপাদান। চুলকানির প্রতিসেধক হিসেবে তাই পুদিনা পাতাও অত্যন্ত উপকারী। এক মগ ফুটন্ত পানিতে এক আউন্স পুদিনা পাতা জ্বাল দিয়ে নির্যাস তৈরি করে নিন। এরপর এই পানিটি চুলকানির স্থানে লাগিয়ে রাখুন। চুলকানি কমে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।
অ্যালোভেরা
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহারের কথা তো সবাই জানেন। চুলকানি প্রতিকারেও অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। ত্বকের যে স্থানে চুলকানি হচ্ছে সেখানে একটি তাজা অ্যালোভেরা পাতা থেকে রস বের করে লাগিয়ে রাখুন। চুলকানি কমে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।