প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছেন। এবং ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। দেহের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বিভিন্ন ক্যান্সারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফুসফুসে ক্যান্সার। এমন ভাবার কোনো কারণ নেই যে আপনি এখন সুস্থ রয়েছেন বলে আপনার ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা খুব সহজেই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারি। বিশেষ করে আমাদের কিছু ভুল কাজ এবং প্রতিদিনের নানা অস্বাস্থ্যকর বিষয়গুলোর কারণে বেড়েই চলেছে এই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি। এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এই প্রতিদিনের অস্বাস্থ্যকর কারণগুলো আমাদের কাছে থাকে অজানা।
১) ধূমপান করা
ধূমপান করলে ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবনা বাড়ে তা সকলেই জানেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই প্রক্রিয়াটি খুব ধীর গতিতে হয়ে থাকে। যার কারণে ধূমপায়ী মানুষেরা বুঝতেই পারেন না তাদের ধূমপান করার অভ্যাসটি তাকে মৃত্যুর মুখে নিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকার একটি গবেষণায় দেখা যায় ৯০% ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য দায়ী ধূমপান।
২) পরোক্ষ ধূমপান
আপনার বন্ধুটি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন এবং আপনি ধূমপান না করেও থাকেন তাহলে জেনে নেবেন আপনার বন্ধুটি নিজের যেমন ক্ষতি করছেন এবং আপনারও ক্ষতি করছেন। কারণ ধূমপান যারা করেন এবং যারা ধুমপায়ীদের আশেপাশে থাকেন ও ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসেন তারাও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকেন।
৩) রেডন
রেডন হচ্ছে একধরণের কেমিক্যাল উপাসান যা মানুষের দেহের সংস্পর্শে এলে ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। রেডন মাটির নিচে যেখানে খুব বেশী আলোবাতাস পৌছায় না যেমন আন্ডারগ্রাইন্ড মাইনের মতো স্থানে উৎপন্ন হতে দেখা যায়। যারা গভীর মাটির নিচের এই মাইন বা এই ধরণের কোনো স্থানে খোঁড়াখুঁড়ি বা এই ধরণের কাজগুলো করেন তারা এই রেডনের সংস্পর্শে এসে ফুসফুসে ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকেন।
৪) নানা ধরণের কেমিক্যাল
অ্যাসবেস্টোস, আর্সেনিক, নিকেল, ক্রোমিয়াম ধরণের মৌলগুলোর অতিরিক্ত সংস্পর্শে আসার ফলে ফুসফুসে ক্যান্সারের ঝুঁকি অন্যান্যদের তুলনায় বেশ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। যারা কল কারখানায় কাজ করেন তাদের অনেক সতর্ক থাকা উচিত।
৫) যাদের পরিবারে ক্যান্সার রোগী রয়েছেন বা ছিলেন
যাদের পরিবারে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন এবং ছিলেন তারা ক্যান্সারে আক্রান্তের অনেক বড় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। বিশেষ করে ফুসফুসে ক্যান্সারের মতো ক্যান্সারগুলো যেগুলো হওয়া খুবই সহজ। তাই যদি পারিবারিক ইতিহাসে ক্যান্সার আক্রান্ত কেউ থেকে থাকেন তাহলে অবহেলা না করে নিয়মিত চেকআপ করানো উচিত সকলেরই।