পরিমানের চাইতে অনেক কম পানি পান করা, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ইত্যাদির কারণে কিডনিতে পাথরের সমস্যার সৃষ্টি হয়। কিডনিতে পাথর হওয়ার জন্য বিশেষভাবে দায়ী অপরিমিত পানি পান। পানির সাথে আমাদের দেহের বাড়তি খনিজ মিশে ইউরিন ও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায়।
কিন্তু সঠিক পরিমাণে পানি পান না করলে সেই বাড়তি খনিজ পদার্থ কিডনিতেই রয়ে যায়, যা ধীরে ধীরে জমে থেকে শক্ত পাথরের মতো হয়ে উঠে। কিডনির পাথর দূর করার জন্য পরবর্তীতে ডাক্তারের কাছে অপারেশন করাতে হয়।
কিন্তু আপনি খুব সহজে এবং বেশ কার্যকরী উপায়ে ঘরেই কিডনির এই পাথর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। দু ধরনের বিশেষ পানীয় পানের মাধ্যমে কিডনি থেকে দূর করে দিতে পারেন পাথর। শুনতে বেশ আশ্চর্য শোনালেও এটি সত্যি।
কারণ প্রকৃতি আমাদের সব ধরণের রোগের ঔষধের ব্যবস্থা করে দিতে পারে। আজকে চলুন দেখে নেয়া যাক কিডনি থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে পাথর দূর করতে কার্যকরী দুটি পানীয় তৈরির পদ্ধতি।
তরমুজ বিচির চা
উপকরণঃ
– তরমুজের বিচি ১ টেবিল চামচ
- আধা লিটার পানি।
পদ্ধতিঃ
– তরমুজের বিচি ছেঁচে বা ভেঙে নিন।
- একটি পাত্রে পানি ফুটতে দিন।
- এরপর ফুটন্ত গরম পানি চুলা থেকে নামিয়ে এতে সাথেসাথেই ছেঁচে নেয়া তরমুজের বিচি দিয়ে দিন।
- পানি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
- স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে তা পান করুন।
- দিনে ৩ বার তৈরি করে এই পানীয়টি পান করুন প্রতিদিন। এই পানীয় পান করলে কিডনিতে জমে থাকা খনিজ দূর হওয়া শুরু করে এবং পাথরের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সেলেরি বীজ চা
উপকরণঃ
– ১ টেবিল চামচ সেলেরি বীজ (কুচি করে কাটা)
- ১ গ্লাস পানি
পদ্ধতিঃ
– একটি পাত্রে পানি ফুটতে দিন।
- এরপর ফুটন্ত গরম পানি চুলা থেকে নামিয়ে এতে সাথেসাথেই কুঁচি করে কাটা সেলেরি বীজ দিয়ে রেখে দিন।
- পানি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
- স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে পানীয়টি পান করুন।
- দিনে ১ বার তৈরি করে এই পানীয়টি পান করুন সপ্তাহে ৩ দিন। এই পানীয় পান করলে কিডনিতে জমে থাকা খনিজ দূর হয়ে পাথরের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।
- গর্ভবতী মহিলারা এই পানীয় পান করবেন না।