নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন সাময়িকীতে একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, নিয়মিত বাদাম খেলে দীর্ঘায়ু হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়। বাদাম খাওয়ার সুফল নিয়ে দীর্ঘ এক সমীক্ষার ফলাফলে সেটাই দাবি করা হয়েছে।
একদল মার্কিন গবেষক ওই সমীক্ষা পরিচালনা করেন। সমীক্ষাবিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত বাদাম চিবিয়ে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
বাদাম খাওয়া ব্যক্তিরা তুলনামূলকভাবে স্বাস্থ্যসম্মত জীবন কাটান। একই সঙ্গে তাদের আয়ুষ্কালে এর সুপ্রভাব পড়ে। যারা জীবনে কখনো বাদাম খাননি, তাদের তুলনায় সপ্তাহে অন্তত এক দিন বাদাম খাওয়া ব্যক্তিদের মৃত্যুর হার ১১ শতাংশ কম।
সমীক্ষায় এক লাখ ২০ হাজার ব্যক্তিকে ৩০ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এতে দেখা যায়, যারা নিয়মিত যত বেশি বাদাম খেয়েছেন, তারা তত বেশি দীর্ঘজীবী হয়েছেন।
প্রতিদিন একমুঠো বাদাম খেলে মৃত্যুর হার ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা।
এ গবেষণার প্রধান গবেষক ডানা-ফারবার ক্যানসার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ব্রিগহ্যাম অ্যান্ড উইমেন হসপিটালের চিকিত্সক চার্লস ফুচ বলেন, বাদাম খেলে হূদরোগে মারা যাওয়ার হার প্রায় ২৯ শতাংশ কমে। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কাও কমে ১১ শতাংশ। বাদাম খাওয়ার অভ্যাস সুস্থ জীবন যাপনের পাশাপাশি ধূমপানের প্রবণতা কমায়।
অতিরিক্ত ওজন কমায় ও ব্যায়াম করতে আগ্রহী করে তোলে। বাদাম কোলেস্টেরল কমায়, ব্যথাবেদনা কমায় ও ডায়াবেটিসের রোগীদের ইনসুলিন নিঃসরণ প্রতিরোধ করে।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন অবশ্য বলেছে, বাদামের এসব গুণাগুণ প্রমাণে আরো বেশি গবেষণা প্রয়োজন আছে।