বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক সিগারেট কোনোভাবেই ধূমপান ছাড়তে সহায়ক নয়।
প্রতিবেদনটিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ই-সিগারেটের পক্ষে এমন কোনো সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায় নি যে এটি সিগারেট খাওয়ার চাহিদাকে দমিয়ে রাখতে পারে।
যদিও বলা হয়েছে যে ক্ষতিকর সিগারেট খাওয়া রোধে ই-সিগারেট কার্যকরী ভূমিকা রাখে কিন্তু তদন্তে দেখা গেছে এটি বয়োঃসন্ধিকালের জন্য বেশ ক্ষতিকর এমনকি গর্ভবতী নারীদের ভ্রুণ নষ্ট করে দিতে পারে। ই-সিগারেটটি খুব শীঘ্রই নিষিদ্ধ করে দেয়া উচিৎ বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
পাবলিক প্লেস এবং কর্মক্ষেত্রে এই ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার জন্য বিশ্ব সংস্থার আইনি পদক্ষেপ নেয়া দরকার। বিশেষজ্ঞরা এই সিগারিটটি নিষিদ্ধ করার জন্য এরই মধ্যে বিজ্ঞাপন দেয়া শুরু করেছেন। তারা বিভিন্ন ফল, মিষ্টি অথবা অ্যালকোহলিক সুগন্ধিযুক্ত ইলেক্ট্রনিক সিগারেট বিক্রেতাকেও সতর্ক করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, ‘বেশিরভাগ লোকই এখন ই-সিগারেট গ্রহণ করে থাকেন। আমরা তাদেরকে এ বিষয়ে সতর্ক করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।’
অনেকগুলো দেশের অংশগ্রহণে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক কনভেনশনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সকলকে এই বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আহবান জানিয়েছে।