Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image

গর্ভকালীন সময়ে কোমর ব্যথা দূর করতে করণীয়



নারী জীবনের একটি বড় স্বপ্ন হলো মা হওয়া। তবে এ সময় একজন গর্ভবতী মায়ের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কোমর ব্যথা তার মধ্যে অন্যতম। বিশেষ করে তৃতীয় ট্রাইমিস্টার বা গর্ভকালীন শেষ ভাগে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।


আমাদের মেরুদণ্ডের লাম্বার রিজন বা কোমরে অংশে একটি সি আকৃতির কার্ভ বা বাঁকা অংশ থাকে, যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় লাম্বার লরর্ডোটিক কার্ভ বলা হয়, এটি আমাদের কোমরকে নড়াচড়া করতে সাহায্য করে।

গর্ভকালীন সময়ে, বিশেষ করে শেষ তিন মাসে যখন বাচ্চার ওজন ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে, তখন মায়ের পেটের আকৃতিও বাড়তে থাকে। এতে এই বাড়তি ওজন বহন করতে মায়ের মেরুদণ্ডের কোমরের অংশের মাংসপেশিগুলোকে বেশি একটিভ বা সক্রিয় থাকতে হয়।

পাশাপাশি গর্ভবতী মা পেটের বাড়তি ওজন বহন করে কিছুটা পিছনের দিকে বাঁকা হয়ে যায়। এতে কোমরের মাংসপেশি ও স্পাইনাল লিগামেন্টগুলো ফেটিগ বা দুর্বল হয়ে যায়; তখন ব্যথা অনুভূত হয়। যেহেতু এই সময় ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়, তাই সাধারণত মায়েরা ব্যথা সহ্য করে থাকেন।

তবে প্রসব পরবর্তী সময়ে এই ওভার একটিভ মাংসপেশিগুলো আরো বেশি শিথিল ও দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ব্যথা আরো বেড়ে যায়। তবে অনেকেই ধারণা করে থাকেন সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য একটি ইনজেকশন দেওয়ার পর থেকে ব্যথা শুরু হয়েছে। তবে ইনজেকশন ব্যথার জন্য দায়ী নয়। মূলত কোমরের মাংসপেশি, লিগামেন্ট ও লাম্বার লাইনের স্বাভাবিক বক্রতা বেড়ে যাওয়ার ফলে এই ব্যথার সৃষ্টি হয়।

করণীয়: গর্ভকালীন কোমর ব্যথা যেহেতু ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করা যায় না, তাই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা অনেক উপকারী। এ ক্ষেত্রে সুপারফিসিয়াল থার্মোথেরাপির পাশাপাশি কিছু থেরাপিউটিক ব্যায়াম করতে হয়। যেমন-স্ট্যাটিক ব্যাক মাসল এক্সসারসাইজ, পেলভিক ব্রিজিং এক্সারসাইজ ইত্যাদি। এগুলো গর্ভকালীন কোমরের মাংসপেশির শক্তি বজায় রাখে এবং গর্ভকালীন কোমর ব্যথা অনেকাংশে কমায়।

প্রসব পরবর্তী ফিজিওথেরাপি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে কোমর ও পেটের শিথিল হয়ে যাওয়া মাংসপেশিগুলো শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য কিছু থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করতে হবে। যেমন- পেলভিক-ফ্লোর এক্সারসাইজ, ব্যাক মাসল স্ট্রেন্দেনিং এক্সারসাইজ; অ্যাবডোমিনাল এক্সারসাইজ ইত্যাদি। ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করলে প্রসব পরবর্তী কোমর ব্যথা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।