Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image

ওষুধ না খেয়েই নিয়ন্ত্রণ করুন ব্লাড প্রেসার



আজকের বদলে যাওয়া লাইফস্টাইলের সঙ্গে স্ট্রেস ও টেনশনের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে যে অসুখটি বেশি করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে তার কেতাবি পরিচয় হাইপারটেনশন। ডাক নাম উচ্চ রক্তচাপ। ১২০/৮০-কে সাধারণত নর্মাল প্রেশার বলা হয়। কিন্তু সমস্যার ঘনঘটা দেখা দিতে শুরু করে যখন তা ছাড়িয়ে চলে যায় ১৪০/৯০-এর কোঠা !

আগে খুব একটা পাত্তা না দিলেও যেই প্রেশার মাপার যন্ত্রে এই রিডিং নজরে এল, অমনি ছুটলেন ডাক্তারের কাছে। প্রেসক্রিপশনে এল বেশ কয়েকটা ভারী ভারী ওষুধের নাম। কিন্তু এই সবই অনায়াসে এড়াতে পারেন যদি মেনে চলে কয়েকটি সহজ উপায়। সারা জীবন তা হলে হাই প্রেশারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।

এক্সারসাইজ:
নিয়মিত এক্সারসাইজ ম্যাজিকের মতো কাজ করে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করতে এবং যাঁদের এখনও এই সুখী রোগটি চেপে ধরেনি তাঁদের এর থেকে শত হাত দূরে রাখতে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাঁরা নিয়মিত এক্সারসাইজ করেন তাঁদের অক্সিজেন ইনটেকের ক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পাশাপাশি হার্টের কার্যকরী ক্ষমতাও অনেক বেড়ে যায়।

টই দইয়ে কেল্লাফতে:
না, না তার মধ্যে আবার মনের সুখে চিনি আর নুন মেশাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে। বরং প্রতিদিন নিয়ম করে ১২০ গ্রাম টক দই খান। এতে মজুত ক্যালশিয়াম ব্লাড ভেসল ভালো রাখে। ফলে প্রেশারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কলা:
অনেকেই কলা খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু বিশ্বাস করুন কড়া কড়া ওষুধ খাওয়ার থেকে রোজ একটা করে কলা খেলে বেশি সুস্থ থাকবেন। এতে রয়েছে পটাশিয়াম যা শরীরে ফ্লুয়িড ব্যালেন্স মেন্টেন করতে সাহায্য করে। আর আপনার হাই প্রেশারের ‘হ’-ও আপনার ধারে কাছে আসবে না।

নুন দিন বাদ:
নুন কিন্তু উচ্চরক্তচাপ হওয়ার পিছনে অন্যতম ভিলেন। তাই কাঁচা নুন না খাওয়াই ভালো। তবে এখানেই লিস্ট শেষ হচ্ছে না। যে কোনও রকম ফাস্ট ফুড, বিস্কুট, প্যাকড ফুডেও প্রচুর পরিমাণে নুন থাকে। তাই এই সব খাবার যতটা সম্ভব কম খান।

ওজন নিয়ন্ত্রণে আনুন:
বাড়তি ওজন মানেই হার্টের উপর বাড়তি চাপ। ফল উচ্চরক্তচাপ। তাই সব সময়ে চেষ্টা করুন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার। এর জন্যে নিয়মিত এক্সারসাইজের পাশাপাশি নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলুন।

স্মোকিংকে বিদায় জানান:
আপনার হৃদয় তো হৃদয় দিয়ে দিনরাত খেটে চলেছে একমাত্র আপনারই জন্যে। তাহলে আপনারও তো তার প্রতি কিছু দায়িত্ব থেকেই যায়! সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে চাইলে আগে বিদায় জানান সিগারেটকে। সিগারেটে মজুত নিকোটিন শরীরে অ্যাড্রেনালিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে বেড়ে যায় আপনার হার্ট বিট। অকারণে কেন হার্টের উপর চাপ সৃষ্টি করবেন?

কাজের বাড়িতে চাপ ঘাড় থেকে নামান:
কর্মক্ষেত্রে সপ্তাহে ৪০ ঘন্টার বেশি সময় কাটালে উচ্চরক্ত চাপের আশঙ্কাও আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত কাজ করার মানে এই নয় যে আপনি সুপার এফিশিয়েন্ট। আমাদের শরীর খুবই ওবিডিয়েন্ট। কিন্তু তার মানে এই নয় যে অকারণে তার উপর চাপ বাড়াতেই থাকবেন। যত চাপ বাড়াবেন, তত তাড়াতাড়ি তার বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

কফিকে সি অফ করে আসুন:
কফি খেলে বেশ চনমনে লাগে। আর এর জন্যে দিনে ৪ থেকে ৫ কাপ কফি খেয়ে ফেলেন! কিন্তু জানেন কি এই অতিরিক্ত মাত্রায় কফি-পান আস্তে আস্তে আপনাকে ঠেলে দিচ্ছে হাই প্রেশারের দিকে? দিনে ১০ থেকে ১২ গ্লাস জল খান, এক্সারসাইজ করুন দেখবেন এমনই চনমনে থাকছেন। আলাদা করে কফির হাত ধরতে হবে না।