একজন ক্যান্সারের রোগীর আটটি লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে বলে দেওয়া যাবে তিনি আর কতদিন বাঁচবেন। নতুন এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের এর এমডি এন্ডারসন ক্যান্সার সেন্টার এর গবেষকরা সংশ্লিষ্ট গবেষণাটি পরিচালনা করেন।
‘ক্যান্সার’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে বেশ কিছু গবেষণায় শুধুমাত্র মৃত্যুপথযাত্রী রোগীর শনাক্তের উপায় সম্পর্কে জানা গিয়েছিল। এ গবেষণায় গবেষকরা প্রতিদিন তাদের রোগীকে দুইবার করে পর্যবেক্ষণ করেন। তারা রোগীর দৈহিক ও মস্তিষ্কের ৫২ ধরনের পরিবর্তন শনাক্ত করেন। এ সব মিলে ৮টি লক্ষণ প্রকাশ পায়। আগের গবেষণার পথ ধরে এদের মধ্যে কারা মারা যাবেন তা নিশ্চিত করা গেছে। পরীক্ষিত ৩৫৭ জন রোগীর মধ্যে ৫৭ শতাংশ মারা গেছেন। আর যাদের ৫২ ধরনের লক্ষণ ধরা পড়েছিল তারা পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে মারা যায়।
গবেষক ডেভিড হুই বলেন, যার তিন দিনের মধ্যে মারা গেছেন, তাদের মৃত্যুর তিন দিন আগে থেকেই এসব চিহ্ন দেখা গিয়েছিল। যে লক্ষগুলো প্রকাশ পায় সেগুলো হলো-
১. আলোর বৃদ্ধি বা হ্রাসে চোখের পিউপিল কোনো প্রতিক্রিয়া করে না।
২. কথা বলার সশয় মুখ-জিহ্বার প্রতিক্রিয়া কমে যায়।
৩. দৃষ্টিশক্তি কমে আসে।
৪. প্রায়ই চোখের পাতা বন্ধ করতে পারেন না রোগী।
৫. নাক থেকে ঠোঁটে দুই কোণ পর্যন্ত যে রেখা পড়ে (হাসার সময় এই রেখা তৈরি হয়) তাতে ব্যাপক ভাঁজ পড়ে যায়।
৬. মাথা সামনের দিকে নুয়ে আসে।
৭. কণ্ঠনালী থেকে গর গর আওয়াজ আসে।
৮. যে প্রত্যঙ্গ খাবারের উপাদান ও পুষ্টি শুষে নেয়, অর্থাৎ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল এর ওপরের অংশে রক্তক্ষরণ হয়।
এই আটটি লক্ষণ যে সব রোগীর মধ্যে দেখা যেতে শুরু করেছিল, তাদের সবাই পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে মারা গেছেন।