আপেল, কমলা বা আঙ্গুরের মতো আভিজাত্যের ছোঁয়া না থাকলেও পুষ্টিগুণ ও স্বাদে কামরাঙ্গা সবার মন জয় করে নিয়েছে। মিষ্টি অথবা টক; সব ধরনের কামরাঙ্গাই খেতে দারুন। প্লেটের পাশের লবণ মরিচে কামরাঙ্গার একটু অংশ ছোঁয়ান; এবার মুখে দিন। মৌসুমি ফল কামরাঙ্গার উপকারিতা তার স্বাদের মতই দারুন।
উচ্চ রক্তচাপ, হাইপারটেনশন ও স্থুলতা
কামরাঙ্গা উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ যা খাদ্য হজমে সাহায্য করে। এরা ইনসলুবল জাতীয় সলুবল ফাইবার যা হজমের কার্য সম্পাদনে সহায়তা করে এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম এবং স্বল্প মাত্রায় সোডিয়াম থাকায়, এটি উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ হিসাবে কাজ করে। শরীরের ক্যালরি দূর করতে কামরাঙ্গার উপকারিতা অপরিসীম।
ক্যান্সার
কামরাঙ্গাতে আছে উচ্চ মাত্রায় দ্রবনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-সি। দ্রবনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানব দেহকে ফ্রি-রেডিকেল বা মুক্ত মূলক থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। প্রাকৃতিকভাবেই এই মুক্ত মূলকগুলো একটি জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে উৎপন্ন হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দ্বারা যদি এই মুক্ত মূলকগুলোর নিয়ন্ত্রন করা না যায় তাহলে দেহকোষের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ফলাফলস্বরূপ ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মত মারাত্মক রোগ দেখা দেয়। অ্যামাইনো এসিড বিশ্লেষণ এবং কোলাজেন উৎপাদনে ভিটামিন-সি অর্থাৎ কামরাঙ্গার উপকারিতা অনেক।
দাদ ও ব্রণ
কামরাঙ্গা মাইক্রোবিয়াল জীবাণু ই.কোলি, সালমোনেলা টাইফাস রোগের বিরূদ্ধে কাজ করে। এমন কি একজিমা রোগ সারাতেও কামরাঙ্গার উপকারিতা অনেক।
সর্দ্দি-কাশি বা ফ্লু
ভিটামিন-সি মুক্ত মূলকের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো প্রতিরোধ করে। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানগুলো ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিণ্য ও পেপটিক আলসার
পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য আঁশ গ্রহণ করলে অন্ত্রের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণ করতে কামরাঙ্গার উপকারিতা অপরিসীম।
স্কার্ভি
ভিটামিন সি স্কার্ভি রোগ প্রতিকার ও প্রতিরোধ করে থাকে।