অনেক সময় সাধারণ জ্বর থেকে ডেঙ্গু জ্বরকে আলাদা করা যায় না। কিন্তু এই ডেঙ্গুর মৌসুমে জ্বর হলেই রোগীর প্রতি বাড়তি নজর দিতে হবে। ডেঙ্গুকে অন্য জ্বর থেকে আলাদা করার জন্য এর লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি।
প্রথমেই যা করতে হবে:
ডেঙ্গু বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। প্রথমত, চেষ্টা করতে হবে যেন এই রোগ কারো না হয়। সে লক্ষ্যে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে হবে। বাড়ির চারপাশ পরস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে। তাই বাড়ির ভিতরের এবং বাইরের সকল জমে থাকা পানির উৎস নির্মূল করতে হবে। এছাড়া ঘর মশামুক্ত রাখার জন্য ঔষধ ব্যবহার করতে হবে।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ:
ডেঙ্গু যদি হয়েই বসে, তখন প্রথমেই রোগের লক্ষণ যাছাই করতে হবে। এরপর ব্যবস্থা নিতে হবে। এই রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে-
- রোগীর হঠাৎ খুব বেশি জ্বর হতে পারে। প্রথম দিন থেকেই ১০২/১০৩ ডিগ্রি জ্বর হতে পারে।
- প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা থাকবে।
- শরীরের অবসন্ন ভাব প্রবল হবে।
- গলায় ও পেটে ব্যথা হতে পারে।
- চোখের পিছনের দিকে ব্যথা হবে
- শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা অনুভূত হবে।
- বারবার বমি হবে।
- দুই থেকে তিনদিন পর শরীরে র্যাঅশ দেখা দিতে পারে।
- দাঁতের গোঁড়া দিয়ে রক্ত পড়তে পাড়ে।
- পায়খানার রং পরিবর্তন হতে পারে।
- অত্যাধিক তাপমাত্রার কারণে দেহে পানিশূন্যতা দেখা দিবে।
- দেহের মধ্যে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
- রক্তক্ষরণ বাড়তে থাকলে রোগীর অবস্থার অবনতি হতে পারে।
তবে সবার মধ্যে সব লক্ষণ একসাথে দেখা নাও দিতে পারে।
যা করনীয়:
ডেঙ্গু রোগে রোগীর প্রতি বাড়তি যত্ন নিতে হবে। তবে এ রোগে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ ডেঙ্গু রোগ অনেক সময় কোন ঔষধ ছাড়াও সেরে যায়। আবার কোন ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়। এ রোগে রোগীকে প্রচুর তরল জাতীয় খাবার দিতে হবে। যেমনঃ স্যালাইন, শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদি। জ্বর বেশি থাকলে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ দেওয়া যেতে পারে। ৪-৫ দিনের বেশি পার হওয়ার পরও অবস্থার উন্নতি না হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিতে হবে।