বাদামের মধ্যে কাঠবাদাম বেশ জনপ্রিয়। কাঠবাদাম সম্পর্কে অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকে মনে করেন কাঠবাদামে প্রচুর ফ্যাট আছে যা দেহে মেদ জমিয়ে থাকে। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। বরং কাঠবাদাম ওজন কমাতে সাহায্য করে। কাঠবাদামের পুষ্টি গুণের কারণে একে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে। কাঠবাদাম এমন একটি খাবার যা প্রতিদিন খাওয়ার ফলে আপনার ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখার পাশাপাশি আপনার হৃদয়যন্ত্রেরও যত্ন নিয়ে থাকে। কাঠবাদাম খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছে theprobar.com,boldsky.com এবং elixirliving.com থেকে।
১। প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে
এক আউন্স কাঠবাদাম থেকে শতকরা ১২ ভাগ পর্যন্ত প্রোটিন পাওয়া যায়। ব্যায়াম করার আগে বা পরে এক মুঠো কাঠবাদাম খেয়ে নিন। এটি আপনার শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূর্ণ করে আপনার পেশি মজবুত করে থাকবে।
২। হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকতে
কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং পটাশিয়াম আছে যা আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি ভিটামিন ই হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমায় এবং হার্ট অ্যাটাক করে থাকে। এছাড়া ধমনীতে ক্ষতিকর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৩। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ
কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই আছে। ত্বক ও চুলের অপরিহার্য একটি উপাদান হল ভিটামিন ই। এটি আপনার ত্বকের রোদের পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
৪। কোলেস্টেরল হ্রাস করতে
অনেকেই ধারণা করে থাকে কাঠবাদাম কোলেস্টেরল বাড়ায়। কাঠবাদাম কোলেস্টেরল বাড়ায় না বরং এর ভিটামিন ই এবং ক্যালসিয়াম আপনার দেহের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে থাকে।
৫। রক্তে সুগারের মাত্রা কমায়
American College of Nutrition গবেষণায় দেখেছেন যে American Diabetes Association নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ এটি শতকরা ২০ ভাগ পর্যন্ত রক্তে সুগার কমিয়ে থাকে।
৬। প্রতি কামড়ে পুষ্টি
যদি কোন খাবারে পুষ্টিগুণ বিচার করা হয়, তবে তার মধ্যে কাঠবাদাম সবার আগে এগিয়ে থাকবে। একটি কাঠবাদামে ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৩.৫ গ্রাম ফাইবার, ৭৫ গ্রাম ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই, রিভোফ্লাবিন এবং নিয়াসিন আছে।
৭। হাড় মজবুত করতে
ভিটামিন, মিনারেল, ফসফরাস হাড় মজবুত করে থাকে। আর এইসবগুলো উপাদান পাওয়া যায় কাঠবাদাম থেকে। ফসফরাস শুধু হাড় মজবুত করতে নয় দাঁত মজবুত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কাঠবাদাম সালাদ, ওটমিল, পাস্তা বা শুধু হালকা ভেঁজে আপনি খেতে পারেন। প্রতিদিন এক মুঠো কাঠবাদাম আপনাকে করবে আরও বেশি সুস্থ সবল।