Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image

যে ৮টি খাদ্য প্রতিরোধ করে ক্যান্সার



বর্তমান যুগে ক্যান্সার মহামারী আকার ধারন করছে। প্রতিদিনই ক্যান্সারের মরণ ফাঁদে যোগ হচ্ছে মানুষ। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি যে এখন পর্যন্ত কোন বিজ্ঞানীর পক্ষে ক্যান্সারের প্রতিষেধক তৈরি করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তাই সব থেকে ভাল পথ হচ্ছে ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করা। ক্যান্সার যাতে শরীরে বাসা বাঁধতে না পারে তার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করা।

বিশ্বব্যাপী পরিচালিত অনেক গবেষণা অনুযায়ী বলা হয় ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে হলে ২ ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা যেতে পারে। প্রথমত, ডায়েট ও দ্বিতীয়ত, ব্যায়াম।
গবেষকরা বলেন, কিছু নির্দিষ্ট খাবারের মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধের গুন রয়েছে। সেগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে ক্যান্সারকে দূরে রাখা সম্ভব। আসুন দেখে নিই প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় কোন কোন খাদ্য যোগ করলে ক্যান্সারের হাত থেকে আপনি নিজেকে ও নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে পারবেন।


চীনাবাদাম:
চীনাবাদাম ভিটামিন ই এর সবথেকে ভালো উৎস। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ চীনাবাদাম কোলন, ফুসফুস, যকৃত, এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সকালে কিংবা বিকালের নাস্তায় চীনাবাদাম রাখুন। এ ছাড়াও এক চামচ চীনাবাদামের মাখন লাগানো এক টুকরো পাউরুটি আপনার শরীরকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখতে পারে।


জাম্বুরা:
জাম্বুরা, কমলালেবু , ব্রোকলি এই সব কিছুতে রয়েছে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি ক্যান্সার হওয়ার জন্য দায়ী নাইট্রোজেন যৌগের গঠন রোধ করে। জাম্বুরা, কমলালেবু, ব্রকলী এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অন্যান্য ফল খাদ্যনালী, মূত্রাশয়, স্তন ক্যান্সার, সার্ভিকাল ক্যান্সার, এবং পেট ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তাই প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি রাখুন।

মিষ্টি আলু:
মিষ্টি আলু বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ একটি সবজি। গবেষণায় দেখা যায় উচ্চ মাত্রায় বিটা ক্যারোটিন শরীরে থাকলে তা কোলন, স্তন, পেট ও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় আরও প্রমানিত হয়, যে মহিলারা মিষ্টি আলুর মত বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ সবজি তাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন রাখেন তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় অর্ধেক কমে যায়।


হলুদ:
হলুদের মধ্যে বিদ্যমান সবথেকে সক্রিয় একটি উপাদান যা ‘কারকিউমিন’ নামে পরিচিত প্রদাহজনিত সমস্যা বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উভয় হিসাবে কাজ করে।
এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানব দেহের টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। শরীরকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করতে চাইলে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন অথবা মাছ ও মাংসের তরকারিতে প্রয়োজন মত ব্যাবহার করতে পারেন।


চা:
চায়ে রয়েছে ক্যাটচীন নামক একটি যৌগ। এই যৌগটি মানবদেহকে ক্যান্সারের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। সম্প্রতি চীনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা চা পান করেন তাদের ফুসফুস, প্রস্টেট, কোলন এবং স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যারা চা পান করেন না তাদের থেকে অনেক কম। চায়ের মধ্যে সবুজ চা (গ্রিন টী) ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য সবথেকে কার্যকরী।



ডালিম:
ডালিমে রয়েছে ‘এলাজিক অ্যাসিড’। এই এলাজিক অ্যাসিড শরীরে ক্যান্সারের জন্য দায়ী যৌগকে নিস্ক্রিয় করে ও ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি বন্ধ করে। যেকোনো উপায়ে পরিবারের সবাইকে আজকে থেকেই ডালিম বা ডালিম জাতীয় ফল যেমন বেদানা খাবার জন্য উৎসাহী করুন। সালাদ, জুস, মিল্কশেক অথবা সরাসরি যেকোনো উপায়ে ডালিম খেতে পারেন সবাই।



টমেটো:
ক্লিনিক্যাল অনকোলজি জার্নালে ২০০৯ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায় টমেটো ‘লাইকোপিন’ নামক ক্যান্সার প্রতিরোধকে সমৃদ্ধ। লাইকোপিন দেহকে প্রস্টেট ক্যান্সার সহ অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই পুরুষ ও মহিলা প্রত্যেকের সপ্তাহে অন্তত তিনটি টমেটো খাদ্য তালিকায় রাখা অত্যন্ত জরুরী।



বেরিস:
ক্যান্সার প্রতিরোধে যে খাবারগুলো তালিকা করা হয় তার মধ্যে বেরিস শীর্ষে। রাস্পবেরি, ব্লুবেরি, ক্র্যানবেরি এবং স্ট্রবেরির মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা। ‘পটেরস্টিলবেন’ নামক একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেরিকে দেয় ক্যান্সার প্রতিরোধের এই ক্ষমতা। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মৌসুম অনুযায়ী বেরি রাখা অত্যন্ত জরুরী দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলার জন্য।