আমাদের দেশে অ্যাভাকাডো ফলটি এখনো বেশি পাওয়া যায় না এটি মূলত মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার ফল। তবে চাষ করলে আমাদের দেশের মাটিতেও ফলতে পারে। আমাদের দেশে যেমন: পেয়ারা, আম-জাম-কাঁঠাল, আমলকী, বেল, জাম্বুরা প্রভৃতি উপকারী ফল রয়েছে, বিদেশি ফলের মধ্যে রয়েছে আপেল-আঙুর, যাদের গুণের শেষ নেই অ্যাভাকাডো তেমনি একটি খুব উপকারী ফল। এটা যেন সর্বরোগের মহৌষধ! দেখুন এটা কীভাবে আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের উপকার করে:
১. অ্যাভাকাডোতে রয়েছে প্রচুর আঁশ ও মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আরও আছে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ দ্রব্য, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন সি ও ই। তা ছাড়া বয়স্ক মানুষের হাড়ের জন্য উপকারী ভিটামিন কে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য পটাশিয়াম, চোখ ভালো রাখতে লুটেইন এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ বি ভিটামিন ফোলেট রয়েছে এই ফলে। তবে সব উপাদানই কম পরিমাণে।
২. ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা গেছে অ্যাভাকাডো খেলে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল কমে, কারণ এই ফলে ফাইটোস্টেরল নামের উদ্ভিদ স্টেরল রয়েছে, যা ক্ষুদ্রান্তে কোলেস্টেরল সংশ্লেষণে বাধা দেয়।
৩. অন্য এক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে যাঁরা অ্যাভাকাডো খান, তাঁদের ট্রাইগ্লিসারাইড কমে যায়।
৪. অ্যাভাকাডো ‘ভাসকুলার হেলথ’ অর্থাৎ রক্ত সঞ্চালন ও রক্তবাহী ধমনি-শিরা কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। ওজন কমাতেও অ্যাভাকাডো সুফল দেয়। দিনে আধাটা অ্যাভাকাডো খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৫. তবে একটাই সমস্যা, অ্যাভাকাডোতে ক্যালরি বেশি। একটি ফলে প্রায় ২৫০ ক্যালরি। তাই যারা উঁচু ক্যালরির খাবার খেতে অভ্যস্ত, তাদের অ্যাভাকাডো বেশি খাওয়া চলবে না, এমনকি দিনে একটি অ্যাভাকাডোও অনেক বেশি হয়ে যাবে!