পর্দার প্রেম সত্য হয়ে ধরা দেয় অনেক তারকার জীবনে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভালোবাসার এই নৌকো এগুতে পারে না বেশি দূর। সন্দেহ, অবিশ্বাস কিংবা খ্যাতির বিড়ম্বনায় ভেঙে যায়, রূপালি জগতের তারকাদের সুখের সংসার।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, বাস্তবতার চেয়ে এক সাথে চলার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বেশি কাজ করে আবেগ। যা কমার সাথে সাথে ফাটল ধরে সম্পর্কেও। তাই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও অগাধ বিশ্বাস তৈরির পরামর্শ তারকা দম্পতিদের।
নাটকের এই সংলাপ, এক সময় যেন বাস্তব হয়ে ধরা দেয় দুজনের জীবনে। এরপর ঘটা করে বসেন বিয়ের পিঁড়িতে। কিন্তু কিছুদিন পরই বাজে বিচ্ছেদের সুর। একই পরিণতি সঙ্গীতশিল্পী হৃদয় খান আর মডেল সুজানার জীবনে। অথচ চার বছরের দুরন্ত প্রেমের কথা বেশ কয়েকবার গণমাধ্যমে অকপটেই বলেছিলেন হৃদয় খান।
সংসার ভাঙার তালিকাটি বেশ দীর্ঘ। যেমন, ইলিয়াস কাঞ্চন-দিতি, জেমস-রথি, জয়া আহসান-ফয়সাল, শমী কায়সার-রিংগো, গাজী রাকায়েত-আফসানা মিমি, সোহেল আরমান-তারিন, নকীব খান-সামিনা চৌধুরী, পার্থ বড়ুয়া-শ্রাবন্তি, শিমুল-নাদিয়া ও কুমার বিশ্বজিৎ-মডেল রুণা দম্পতির বিচ্ছেদ।
অনেক ক্ষেত্রে তারকাদের বিচ্ছেদে কাজ করেছে তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতি। যেমন ষাটের দশকে সুচন্দাকে ঘিরে ভাঙে জহির রায়হান-সুমিতা দেবীর সংসার।
একই পরিণতি হয় আলমগীর-খোশনুর ও হুমায়ুন ফরীদি-সুবর্ণা মুস্তফার দাম্পত্য জীবনে।
কেন এমন হয়? মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, বিয়ের সিদ্ধান্তের চিন্তা-ভাবনায় আবেগ বেশি কাজ করে। তবে সংসার ভাঙার এমন গানেও আছে ব্যতিক্রম। দুই দশক পেরিয়ে এখনও সজীব মৌসুমী-ওমর সানী, তৌকীর-বিপাশা কিংবা জাহিদ-মৌ তারকার দাম্পত্য জীবন। এই তারকা দম্পতি বলছেন পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আর বিশ্বাস থাকলে, যতই প্রতিকূলতা আসুক তা কাটানো সহজ হয়। নতুনদের এই বিষয়ে যত্নবান হওয়ার পরামর্শ তাদের।