ক্ষুদে গানরাজ প্রতিযোগিতা দিয়ে তারকার খাতায় নাম লেখানো পড়শি এখন আর সেই ছোট্টটি নেই। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এখন বড় তারকাও।
অ্যালবাম, স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ততার পাশাপাশি চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক নিয়েও সমান ব্যস্ত এই কণ্ঠশিল্পী। ১২ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত টানা কনসার্ট করে এলেন ফ্যান্টাসি কিংডমে। আর এরপরই পড়শি তার ব্যান্ড বর্ণমালাকে নিয়ে গেলেন গাজীপুরে। কনসার্টের ব্যস্ততা শেষ হতেই হয় তো আবারো শুরু হবে কোন সিনেমার গানের প্লেব্যাক। তারপর আবারও কনসার্ট, লাইভ শো। এভাবেই চলছে পড়শির দিন।
এত ব্যস্ততার ভেতরে তার অবসর মেলায় দায়। তারপরও কি অবসর মেলে না। নিজের জন্য সামান্য একটু সময় ঠিকই বের করে নেন পড়শি। সেই সময়টুকু কীভাবে কাটান তিনি। পড়শি জানালেন, অবসরে তিনি অনেক কিছুই করেন। নিজের পড়ালেখার পাশাপাশি কখনো কখনো মন ভালো থাকলে, মুড ভালো থাকলে লেখালেখিও করেন। সেসব লেখালেখির খবর নিজ মুখেই শোনালেন । ‘অবসর সময়ে আমার কাজ আড্ডা দেওয়া না। অবসর সময়ে আমার কাজ হয় লেখালেখি করা না হয় গান শোনা। লেখালেখিটা আমার মুডের উপর নির্ভর করে। আমার কাজ কবিতা বা গল্প লেখা না। আমার ভাবনাগুলো লিখে রাখি। আমার মাথায় যখন যে চিন্তা আসে সেটাই লিখে রাখি। দু'তিন পৃষ্ঠা থেকে শুরু করে যতক্ষণ পর্যন্ত লিখতে ইচ্ছা করে ততক্ষণ পর্যন্ত। একটা ভাবনাকে তুলে ধরা বা একটা ঘন্টা বা একটা দিনকে তুলে ধরায় আমার লেখালেখির মূল বিষয়। এই তো একদিন রাতে সবাই ঘুমাতে গেল কিন্তু আমার ঘুম আসছিল না। তো তখন কি করবো। কিছুক্ষণ গান শুনলাম-এরপর কি করবো?
এবার বারান্দায় গিয়ে লাইটার জ্বালিয়ে লেখালেখি শুরু করলাম। সেদিন বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিল। তো ঐটা নিয়েই লেখালেখি শুরু করলাম। আমার লেখালেখি এরকমই। যখন যেটা মনে আসবে সেটা নিয়েই লিখবো। জীবন, জগৎ, প্রকৃতি। যা মনে হবে তাই নিয়েই ভরিয়ে ফেলি আমার লেখার ডায়রী। নির্দিষ্ট কোনো কিছুই নেই। তবে আমি আর আমার ভাইয়া (স্বাক্ষর এহসান) দুজন মিলে কিছু গান লিখেছি।’