আমার জীবনে অনেকবার মনে হয়েছে রবীন্দ্রনাথের সময় কেন আমি জন্ম নিলাম না। তাহলে তার সাথে প্রেম করতে চাইতাম। তার সঙ্গে যোগ আমার সেই ছোটবেলা থেকেই। বাবা রাইটার ছিলো। পারিবারিকভাবেই তার সৃষ্টিকর্মের সংস্পর্শে ছিলাম। তার গল্প, তার গান, তার, কবিতা এসব আমি পড়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে রবীন্দ্রনাথ পড়লে মানুষের মনে প্রেম জাগে, বিশালতা জাগে, সংকীর্ণতা দূর হয়। রবীন্দ্রনাথের গান কালকে রাতেও শুনছিলাম। ভালো লাগে ঘুম থেকে উঠে তার গান শুনতে।
রবীন্দ্রনাথের কোন নাটক করা হয়নি আমার। অনেক অফার এসেছে। কিন্তু আমি ফিরিয়ে দিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে রবীন্দ্রনাথের নাটক চিত্রায়িত করতে যথেষ্ট আয়োজন ও যোগ্যতা দরকার। রবীন্দ্রনাথ এমন কোন হালকা ব্যাপার না। দুই আড়াই লাখ টাকা বাজেটে রবীন্দ্রনাথের নাটক বানাতে যাওয়া ধৃষ্টতা।
রবীন্দ্রনাথ নিয়ে আমার একটা মজার অভিজ্ঞতা আছে। তখন আমি অনেক ছোট। কলকাতায় একটা নাচের অনুষ্ঠানে গিয়েছি নাচ করতে। সেখানে একটা ফাইভ স্টার হোটেলে উঠেছি আমরা। সেখানে উঠেছেন ঋতুপর্ণ ঘোষও। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিলো। উনি বারান্দায় খুব চিৎকার করছিলেন। গিয়ে দেখলাম উনি ছাদে বৃষ্টিতে ভিজতে চান। কিন্তু কতৃপক্ষ ছাদের তালা খুলছে না। অনেক কষ্টে ছাদের তালা খোলা হলো। তিনি আমাদের সবাইকে নিয়ে ছাদে উঠলেন। আমরা বৃষ্টিতে ভিজলাম ছাদে। ছাদে ভিজতে ভিজতে ঋতুপর্ণ ঘোষ বলেছিলো আমাকে হৈমন্তির মতো দেখায়..