১০০৯ সপ্তাহ ধরে এটি কোনো ভারতীয় ছবির একটি প্রেক্ষাগৃহে চলার নতুন রেকর্ড। এর আগের রেকর্ড ছিল আমজাদ খানের ‘মুঝে হাত দে দো ঠাকুর’ ডায়ালগখ্যাত অমিতাভ-ধর্মেন্দ্রর শোলে ছবিটি। মুম্বাইয়ের মিনার্ভা থিয়েটারে ১৯৭৫ সালে মুক্তি পেয়ে টানা পাঁচ বছর চলেছিল শোলে।
মারাঠা মন্দির মাল্টিপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোজ দেশাই জানান, তখনও সপ্তাহান্তে হাউসফুল থাকত ডিডিএলজে শো। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে অর্ধেক আসন পূর্ণ থাকত। কিন্তু, ডিসেম্বর মাসে ছবি এক হাজার সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার পরই মারাঠা মন্দির কর্তৃপক্ষ যশরাজ ফিল্মসকে ছবির শোর সময় পরিবর্তনের অনুরোধ জানায়। সকাল সাড়ে ১১টার পরিবর্তে ছবিটির শো সকাল সোয়া ৯টায় দেখানোর আবেদন করা হয়।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখ সকাল সাড়ে ৯টায় চলতে থাকে ছবিটির শো। যতদিন দর্শক আসে, ততদিন শো চালিয়ে নিয়ে যেতে কোনো আপত্তি ছিল না কর্তৃপক্ষের। কিন্তু, সকালে নতুন সময়ে বাড়তি শো যোগ হওয়ায় কর্মীদের বেশিক্ষণ কাজ করতে হচ্ছিল। তাই দুই পক্ষের সিদ্ধান্তে বৃহস্পতিবার থেকে মারাঠা মন্দির প্রেক্ষগৃহে দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গের শেষ শো হয়ে গেল। ওই দিন ২১০ জন দর্শক ছবিটি উপভোগ করেন।
আকস্মিক ঘোষণা ১০০৯ অভূতপূর্ব সপ্তাহ শেষে মারাঠা মন্দির থেকে ইতি টানা হয়েছে বলে , শ্রোতারা এই নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে। এই খবর বাইরে তোলপাড়সৃষ্টি করে ফলে, মারাঠা মন্দির ব্যবস্থাপনা তারা অবিলম্বে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যার উপর ভিত্তি করে সিনেমা পুনর্বহাল অনুরোধ সঙ্গে প্লাবিত ছিল। পরবর্তিতে পারস্পরিক একই সময় ১১:৩০ মর্নিং শো স্ক্রীনিং অব্যাহত রাখার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই শুধুমাত্র ডি.ডি.এল.যে ভক্তদের নিঃশর্ত ভালবাসা। আর তাই কতৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছেন ডি.ডি.এল.যে এর পরিদর্শন চলতে থাকবে।
কতৃপক্ষ এ-ও বলেছেন, আপনার ভালোবাসার জনকে সঙ্গে মারাঠা মন্দিরে পুনরায় পরিদর্শন করুন, আবার হোক প্রেমে পড়া... আবার ও আবার!