আমি ডানা ছাড়া পাখি, তোমার আশায় আশায় থাকি…তুমি ছুঁয়ে দিলে এই মন, আমি উড়বো আজীবন’-গানটি ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ ছবির। এমনই রোমান্টিক গানে ভরপুর ছবিটি শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৩টি হলে মুক্তি পেলো আজ। শিহাব শাহীন পরিচালিত এ ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ ও জাকিয়া বারী মম।
প্রশ্ন হলো, দর্শক কেন দেখবে ছবিটি? দর্শক আকর্ষণ করার মতো কি কি থাকছে এতে? এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন চলচ্চিত্রটির তিন ‘ন’- অর্থাৎ নায়ক-নায়িকা ও নির্মাতা।
না দেখলে দর্শক মিস করবে: আরেফিন শুভ
প্রথমেই ছবি মুক্তির অনুভূতি জানালেন নায়ক আরেফিন শুভ। বললেন, ‘কাল ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে এটা নিয়ে টেনশনে যেমন আছি তেমনি ভয়েও আছি আবার আশাও করছি। আশা করছি দর্শক ছবিটা দেখবে। টেনশন করছি দর্শক আসলে ছবিটা কতটা দেখবে। ভয়ে আছি ছবিটা শেষ পর্যন্ত সফল হবে কি না?
আরিফিন শুভ নানামুখী টেনশনে থাকলেও ছবিটি ইতিমধ্যেই ৫০টির অধিক সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে।
এবার তাকে প্রশ্ন করলাম দর্শক ছবিটি কেন দেখবে? জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি এমন একটা ছবি যা না দেখলে দর্শক মিস করবে। একটি নিটোল প্রেমের ছবি দেখা থেকে দর্শক বঞ্চিত হবে ।’
জানতে চাইলাম এই ছবিতে শুভ অভিনীত অন্য ছবিগুলো থেকে ভিন্নতা কতটুকু থাকছে। এর জবাবে তিনি বলেন, ‘ভিন্নতার কথা কিছু বলবো না, আমি বলবো সব ধরনের ভিন্নতা বাদ দিয়ে দর্শক শুধু মাত্র আনন্দ পা্ওয়ার জন্য যদি আসে তাহলে আমি মনে করি দর্শক নিরাশ হবে না।’
প্রেম দেখার জন্যই দর্শক হলে যাবে: মম
এবার নায়িকার পালা। জাকিয়া বারী মমকে প্রশ্ন করতেই গড়গড় করে বলতে থাকলেন তিনি, ‘আমার চরিত্রের নাম নীলা। হৃদয়পুর গ্রামের আবির নামের এক ছেলের সঙ্গে সে প্রেম করে। আবির আর নীলার প্রেম দেখার জন্যই দর্শক হলে যাবে। আর এটি হান্ড্রেড পারসেন্ট একটি দেশি ছবি। মিউজিক ও লোকেশন সবই দেশে হয়েছে। দেশকে দেখার জন্য, একটি নতুন ছবি দেখার জন্য দর্শক হলে আসবে। আর এটাকে কখনোই গতানুগতিক মনে করি না। কারণ আমার দেখা আর দশটা গতানুগতিক গল্পের মতো এ ছবির কাহিনী নয়।’
গতানুগতিক কাজ আমি করতে পারি না: শিহাব শাহিন
সবশেষে কথা বলি পরিচালক শিহাব শাহীনের সঙ্গে। সব প্রশ্নের উত্তরে নিজের কথাই বললেন শিহাব। জানালেন হলের সংখ্যাও। সেই সঙ্গে যোগ করে দিলেন বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রিমিয়ার শো হওয়ার কথাও।
শিহাব বলেন, ‘দর্শক ছবিটা দেখবে কারণ তারা আমার প্রথম ছবি দেখবে তাই। দর্শক বিনোদন চায়, বিনোদন পাওয়ার জন্যই ছবিটি দেখবে। অনেকদিন পর পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটি ছবি দেখতে যাবে তাই।
আর দশটা ছবি থেকে এই ছবির ভিন্নতা কতটুকু? দর্শককে আকর্ষণ করার মতো কি কি থাকছে ছবিতে? এর জবাবে শিহাব তুলে ধরলেন লোকেশন গান আর গল্পের প্লট। তিনি বলেন, ‘গতানুগতিক কাজ আমি করতে পারি না। সবসময় কাজের ভেতর ভিন্নতা খুঁজি। আর আমি যেভাবে পেরেছি সেভাবেই ছবিটি নির্মাণ করেছি। এটাই আমার ভিন্নতা। বাকিটা বলবে হলের পর্দা। লোকেশন, অভিনয়, গান, এবং গল্প বলার ঢঙে, সবকিছুতেই ভিন্নতা পাবে দর্শক।’