সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। তবে কেউ বেশি দ্বিধায় ভোগেন আবার কেউ কম। হালের নবাগত নায়িকা অমৃতা খান নাকি এ ক্ষেত্রে এক কাঠি সরেশ। বেশিরভাগ সময়েই থাকেন দ্বিধার ভেতর। ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে অভিনয় জীবনেও বার বার দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারণে মাশুল গুনেছেন এই অভিনেত্রী।
অমৃতা বলেন, 'কি করব, না করব- এটা ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারি না। ফলে হুট-হাট সিদ্ধান্ত নিতে গেলেই ভুল করে ফেলি। এর ফলে পড়তে হয় ঝামেলাতেও।’
ঝামেলায় পড়লে অমৃতা অবশ্য আশ্রয় খোঁজেন মা-বাবার কাছেই। এ প্রসঙ্গে অমৃতা বলেন, ‘প্রথম প্রথম ভাবি যে কিছুই হবে না, সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর যখন ঝামেলাই পড়ি তখন মাকে গিয়ে বলি। তখন মা’র ঝাড়ি খেয়ে তওবা করি যে আর ভুল করবো না। কিন্তু তারপরও ভুল করে বসি।’
অমৃতার কাছে এসব নিয়ে সবচেয়ে বাজে অভিজ্ঞতা হচ্ছে ‘মিশন দক্ষিণ আফ্রিকা’র শুটিংয়ে গিয়ে সেখানকার বিমান বন্দরে আটকে যাওয়ার ঘটনা। অমৃতা বলেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল, কোনো রকমের যাচাই বাছাই না করেই ‘মিশন দক্ষিণ আফ্রিকা’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া। কী করবো নিরবের কথায় বিশ্বাস করেই এই বড় ভুল করেছি। আর এর সমাধান করতে হয়েছে বাবা-মাকেই।‘
এ ছাড়া স্কুল-কলেজ আর পড়ালেখা করার ক্ষেত্রেও তার ভুল সিদ্ধান্তের কারণে নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে তাকে। তবে এসব নিয়ে নিজের চেয়ে নিজের বয়সকেই বেশি দোষ দেন এই অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি এখনো অনেক ছোট। নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো পরিপূর্ণতা এখনো আমার আসে নি।’
তাহলে অমৃতার উপায় কী! ভুলে ভুলেই কি কাটবে অমৃতার দিন? সমাধানও জানালেন নিজ মুখেই, ‘ভেবেছি এখন থেকে আর নিজে নিজে কোনো সিদ্ধান্ত নিবো না। কোনো কিছু করার আগে মাকে বলবো। কারণ মা-ছাড়া অন্য কেউ ভাল সিদ্ধান্ত দিবে না। যার কাছেই সিদ্ধান্ত নিতে যাবো সেই তার নিজের স্বার্থটাই আগে দেখবে।’
একমাত্র ‘গেম’ চলচ্চিত্র ছাড়া প্রধান নায়িকা হিসেবে অমৃতাকে সাইড নায়িকা হিসেবেই উপস্থাপন করেছেন নির্মাতারা। এ নিয়েও অমৃতার হতাশার শেষ নেই। দেখা যাক, নিজের ভুল সিদ্ধান্ত আর দ্বিধার প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে অমৃতা কতদূর যেতে পারেন…