Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Entertainment Image

বাংলা চলচ্চিত্রের মুকুটবিহীন নবাব



‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ ছবিতে নাম ভূমিকার জন্য নয়- বাংলা চলচ্চিত্রে অর্ধশতকের অবদানে তিনি ভাস্বর। তার হাতেই কেটেছে বাংলা ছবির ক্রান্তিকাল, গতি পেয়েছে সাংস্কৃতিক আন্দোলন, গড়ে উঠেছে স্বতন্ত্র ইতিহাস। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত চলচ্চিত্র শিল্পে তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি আনোয়ার হোসেন- বাংলা চলচ্চিত্রের মুকুটবিহীন নবাব।

আজ তার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ৮২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এ উপলক্ষে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিল, গরিব এতিম বাচ্চাদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে রাজধানীর ক্রিসেন্ট রোড মসজিদে। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আয়োজনে বাদ আসর মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

আনোয়ার হোসেনের জন্ম জামালপুর জেলার সরুলিয়া গ্রামে ১৯৩১ সালের ৬ই নভেম্বর। ২০০৭ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত একজন বহুমাত্রিক অভিনেতা হিসেবে তিনি পাঁচ শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। আনোয়ার হোসেন অভিনীত প্রথম ছবি ‘তোমার আমার’ ১৯৬১ সালে মুক্তি পায়। ১৯৬৪ সালের ১লা মে তার অভিনীত ‘দুই দিগন্ত’ ছবিটি দিয়ে ঢাকার বলাকা প্রেক্ষাগৃহের শুভ উদ্বোধন হয়েছিল। আনোয়ার হোসেনের অভিনয় জীবনের শ্রেষ্ঠ ছবির মধ্যে ‘নবাব সিরাজদ্দৌলা’র পর জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেয়া’ উল্লেখযোগ্য। রাজেন তরফদার পরিচালিত ‘পালঙ্ক’ ছবিতে তার নায়িকা ছিলেন সন্ধ্যা রায়।
আনোয়ার হোসেন ১৯৭৫ সালে প্রবর্তিত প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘লাঠিয়াল’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন। এরপর তিনি পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ছবিগুলো হচ্ছে গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), দায়ী কে (১৯৮৭) এবং লালসালু (২০০১)।

২০১১ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান আসর থেকে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন এই গুণী শিল্পী। বাংলা চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৫ সালে একুশে পদকও পান তিনি। সর্বশেষ ২০১০ সালে আনোয়ার হোসেনকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।