বড়ি বড়ি দেশও মে অ্যায়সে ছোটি ছোটি বাত হোতি র্যাহেতি হ্যায়’—সংলাপটি নিশ্চয়ই মনে আছে। সিনেমাপ্রেমীদের নিশ্চয়ই মনে আছে রাজ আর সিমরান জুটির কথা। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে কিং খান শাহরুখ আর কাজল অভিনীত যশরাজ ফিল্মসের ছবি দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গের। সংক্ষেপে ছবিকে বলা হয় ডিডিএলজে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ১৯৯৫ সালের ১৯ অক্টোবর মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই আদিত্য চোপড়া পরিচালিত ছবিটি মুম্বাইয়ের মারাঠা মন্দির মাল্টিপ্লেক্স প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হচ্ছিল। ওই প্রেক্ষাগৃহে তখন থেকেই টানা ২০ বছর ধরে চলেছে ছবিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার শেষবারের মতো সেখানে দেখানো হয়েছে ছবিটি। শেষ শোটি দেখেছেন ২১০ জন। এই ২১০ জনকে ভাগ্যবান বলতেই হবে। কারণ শেষ দৃশ্য শাহরুখ খানের সঙ্গে ট্রেনে কাজলের দৌড়ে ওঠার দৃশ্যটি আর কেউ বড় পর্দায় দেখতে পাবেন না।
১০০৯ সপ্তাহ ধরে এটি কোনো ভারতীয় ছবির একটি প্রেক্ষাগৃহে চলার নতুন রেকর্ড। এর আগের রেকর্ড ছিল আমজাদ খানের ‘মুঝে হাত দে দো ঠাকুর’ ডায়ালগখ্যাত অমিতাভ-ধর্মেন্দ্রর শোলে ছবিটি। মুম্বাইয়ের মিনার্ভা থিয়েটারে ১৯৭৫ সালে মুক্তি পেয়ে টানা পাঁচ বছর চলেছিল শোলে।
মারাঠা মন্দির মাল্টিপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোজ দেশাই জানান, তখনও সপ্তাহান্তে হাউসফুল থাকত ডিডিএলজে শো। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে অর্ধেক আসন পূর্ণ থাকত। কিন্তু, ডিসেম্বর মাসে ছবি এক হাজার সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার পরই মারাঠা মন্দির কর্তৃপক্ষ যশরাজ ফিল্মসকে ছবির শোর সময় পরিবর্তনের অনুরোধ জানায়। সকাল সাড়ে ১১টার পরিবর্তে ছবিটির শো সকাল সোয়া ৯টায় দেখানোর আবেদন করা হয়।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখ সকাল সাড়ে ৯টায় চলতে থাকে ছবিটির শো। যতদিন দর্শক আসে, ততদিন শো চালিয়ে নিয়ে যেতে কোনো আপত্তি ছিল না কর্তৃপক্ষের। কিন্তু, সকালে নতুন সময়ে বাড়তি শো যোগ হওয়ায় কর্মীদের বেশিক্ষণ কাজ করতে হচ্ছিল। তাই দুই পক্ষের সিদ্ধান্তে বৃহস্পতিবার থেকে মারাঠা মন্দির প্রেক্ষগৃহে দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গের শেষ শো হয়ে গেল। ওই দিন ২১০ জন দর্শক ছবিটি উপভোগ করেন।