*প্রতিদিন বাইরে থেকে বাসায় ফিরে চালের গুড়ার সাথে সামান্য দারুচিনি ও শঙ্খের গুঁড়ো পানি দিয়ে মিশিয়ে পেস্ট করে সারা মুখে ও গলায় লাগান। ৪-৫ মিনিট রাখার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব যেমন কমবে তেমনি আপনাকে অনেকক্ষণ ফ্রেশ রাখবে।
*পুদিনা পাতা পরিস্কার করে ধুয়ে অল্প পানিতে ফুটিয়ে ছেকে নিন। তারপর এই নির্যাস বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। বাইরে থেকে এসেই ফ্রিজে রাখা পুদিনার নির্যাস ত্বকে লাগান। এতে ত্বকের তৈলাক্ততা কমবে। একবার তৈরী করা পুদিনার নির্যাস এক সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।
*তৈলাক্ত ত্বকে বেশি গরমে ব্রণ বা র্যা শের সমস্যা দেখা দেয়। এ সময়ে তাই প্যাক হিসেবে লবঙ্গ ও ময়দার পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সমস্যা কমার পাশাপাশি মুখের তৈলাক্ততাও অনেকাংশে দূর হবে।
*গোসলের পানিতে আধা চা চামচ কর্পূর মিশিয়ে গোসল করুন। এতে অনেকক্ষণ ফ্রেশ থাকা যায়।
*তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা মেকআপ নেয়ার আগে মুলতানি মাটি, শঙ্খ গুঁড়া ও ক্যালামাইন পাউডারের সংমিশ্রনে তৈরি একটি বিশেষ পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। ২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, ১ টেবিল চামচ শঙ্খ গুঁড়া ও ১ টেবিল চামচ ক্যালামাইন পাউডার মিশিয়ে বাইরে যাওয়ার আগে পাউডারের মতো লাগান। এটি যেমন সানব্লকের কাজ করবে তেমনি এই পাউডার মুখের অতিরিক্ত ঘাম কন্ট্রোল করে বলে মেকআপও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
...নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমেই ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করা সম্ভব। আসলে একদিনে ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর করা সম্ভব নয়। প্রতিদিন রূপচর্চা করলে ত্বক আপনার নিয়ন্ত্রনে থাকব। তাই নিয়ম করে কিছু পরিচর্যা করুন । যা আপনার মুখের তৈলাক্ততা দূর করে আপনাকে করে তুলবে সজীব ও সুন্দর।