*গরমকালে দিনের বেলা ঘরের বাইরে বের হলে চোখে সানগ্লাস ব্যবহার করা উচিত। এটা সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে আপনার চোখের লেন্স কে রক্ষা করবে। এছাড়াও রাস্তার ধুলাবালি থেকে চোখের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
*প্রচন্ড গরমে সাঁতার কাটতে অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু পুখুরের পানিকে বিশুদ্ধ রাখতে যে রাসায়নিক দ্রব্য এবং ক্লোরিন ব্যবহার করা হয়, সেটি চোখকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই সাঁতারের সময় ব্যবহৃত বিশেষ চশমা ব্যবহার করুন এবং সাঁতার কাটার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
*গরমে অনেকের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তবে এ সময়টায় শুধু ত্বকই নয়, চোখও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই ভেজা ভাব বজায় থাকে এমন চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। এসব ড্রপ সাধারণত প্রিজারভেটিভ মুক্ত হয়। তবে যেকোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
*এয়ার কন্ডিশনারের (এসি) বাতাসে চোখ অনেক বেশি শুষ্ক ও স্পর্শকাতর হয়ে যেতে পারে। তাই এসিতে থাকলে এমন জায়গায় অবস্থান করুন যেখান থেকে বাতাস সরাসরি চোখে না লাগে।
*গরমে মধ্যে চোখের যেসব সমস্যাগুলো খুব বেশি পরিলক্ষিত হয় সেগুলো হচ্ছে- চোখ শুকিয়ে যাওয়া, গ্লুকোমা এবং রেতিনাপ্যাথি। তাই নিয়মিত চোখের চেকাপ করা অত্যন্ত জরুরি।
*চোখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে হলে অবশ্যই ভিটামিন সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সবুজ শাক-সবজি আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি পরিষ্কার রাখবে।
*সাজগোজ করতে যারা ভালবাসেন তাদের জন্য প্রসাধনী সামগ্রী বিরাট এক আশীর্বাদ। কিন্তু এগুলো ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই মেয়াদ আছে কিনা এটা দেখে নিন।
*এক টানা অনেকক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করার ফলে চোখের চারপাশ কালো হয়ে যায়, চোখের জ্যোতি কমে আসে। তাই একটানা কাজ না করে খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে কাজ করলে চোখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
*শতকরা ৫০ জন মহিলা গর্ভাবস্থায় ব্লাড সার্কুলেশন ও হরমোনের পরিবর্তনের কারণে চোখের সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাই এ সময়টাতে চোখের প্রতি আরো যত্নবান হওয়া উচিৎ।
*গরমের ছুটিতে অনেকেই ক্যামপেইনিং, বাইসাইকেলিং, ক্যাম্প ফায়ার এগুলোতে মেতে থাকেন। এসব করার সময় পরিষ্কার প্রতিরক্ষামূলক চশমা বা সাদা চশমা ব্যবহার করুন। এতে চোখ যত্নে থাকবে এবং সুরক্ষাও পাবে।