মুখে অবাঞ্ছিত লোম কেবল নারীদের জন্য নয়, অনেক পুরুষের জন্যও বিব্রতকর একটি সমস্যা। কপালে, গালে, কানের পাশে ইত্যাদি অনেক স্থানেই হয়ে থাকে অবাঞ্ছিত লোম। মেয়েদের ক্ষেত্রে ঠোঁটের ওপরে লোম তো খুবই বাজে দেখায়। না, শেভ করে এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না, হেয়ার রিমুভাল ক্রিম মুখে ব্যবহার নিষেধ। আর ওয়াক্সিং বা থ্রেডিং মারাত্মক ব্যথাদায়ক প্রক্রিয়া। তাহলে উপায়? জেনে নিন সম্পূর্ণ ব্যথাহীন ভাবে মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার দুটি দারুণ উপায়। কী লাগবে? কেবল বেকিং সোডা আর রসুন!
বেকিং সোডা সমূলে বিনাশ করবে মুখের লোম
এই পদ্ধতিটি অবশ্যই রাতে অবলম্বন করতে হবে। দিনে করা যাবে না। পরিমাণ যেটুকু বলা আছে, সেটুকুই ব্যবহার করবেন।
-২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ২০০ এমএল ফুটন্ত পানির সাথে মিশিয়ে নিন। তারপর পানিতিকে ঠাণ্ডা হতে দিন সম্পূর্ণভাবে।
-কয়েক টুকরো সুতি কাপড় বা গোঁজ ব্যান্ডেজ এই মিশ্রণে ভিজিয়ে একটু নিংড়ে নিন। তারপর সেই স্থানে লাগিয়ে রাখুন যেখানে বেশী লোম গজায়। এমনভাবে মুখে লাগান, যেন কাপড় বা ব্যান্ডেজের টুকরো মুখে লেগে থাকে সারা রাত। টিস্যু পেপারও ব্যবহার করতে পারেন, সেটা বেশ ভালো ভাবে লেগে থাকে।
-সকালে মুখ ধুয়ে খুব ভালো ময়েসচারাইজার লাগিয়ে নিন। ২/৩ দিন ব্যবহার করলেই বাড়তি লোম ঝরে পড়তে শুরু করবে।
টিপস
মুখে কাপড় লাগিয়ে ঘুমাতে না পারলে আক্রান্ত স্থানে মিক্সচার মাখুন। শুকিয়ে গেলে আবারও মাখুন। এমন করে কয়েকবার দেয়ার পর সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে মুখ না ধুয়েই বিছানায় যান। তবে এভাবে লোম ঝরতে সময় লাগবে।
রসুনের আছে ম্যাজিক
অনেক কাজের কাজী এই রসুন মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতেও দারুণ এক্সপার্ট। কী করবেন? তেমন কিছুই না। চলুন জেনে নিই
-রসুন টুকরো করে নিন। আক্রান্ত স্থান গুলোতে ঘষুন।
-আধা ঘণ্টা রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন।
-দিনের মাঝে বেশ কয়েকবার এমন করুন।
-৩/৪ দিনের মাঝেই হেয়ার গ্রোথ কমে আসবে।